অবতক খবর,২৯ নভেম্বর: অবশেষে জল্পনার অবসান। তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। সোমবার বাসন্তীতে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের একটি কর্মিসভায় দলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন তিনি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন অভিনেত্রী।

এক সময় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তবে একুশের ভোটের আগেই গত পয়লা মার্চ গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের প্রার্থীও হন। বিপক্ষে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা। বিজেপির এই প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন অনেকেই। যদিও তাতে গুরুত্ব দেয়নি দল। শ্রাবন্তীর প্রচারে এসেছিলেন খোদ অমিত শাহ। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন শ্রাবন্তী। তারপর থেকে আর বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে।শেষমেশ নভেম্বরের শুরুতে টুইটে দলত্যাগের কথা জানান শ্রাবন্তী। দলত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি লিখেছিলেন, “যে দলের হয়ে গত বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলাম, সেই বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করছি। বাংলার জন্য তাঁদের উদ্যোগী মনোভাব ও আন্তরিকতার অভাব দেখেই এই সিদ্ধান্ত।” যা উসকে দিয়েছিল দলবদলের জল্পনা। সেই সময় অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, সময়েই সবটা জানা যাবে।

সোমবার সেই জল্পনাতেই সিলমোহর পড়ল। এদিন বাসন্তীতে তৃণমূলের তরফে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানেই উপস্থিত হন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন সায়ন্তিকা-সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। এদিন তাঁদের উপস্থিতিতেই নতুন করে তৃণমূল পরিবারের সদস্য হলেন শ্রাবন্ত্রী। তৃণমূলে যোগের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন তিনি। জানান, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চান তিনি।বিধায়কের অনুরোধে অনুষ্ঠান মঞ্চে গানও করেন তিনি। তারপর রওনা হন কলকাতার উদ্দেশে।