দেখুনতো এই দুটি মুখ চেনেন কিনা? এরা যদি আজ থাকতেন, তাহলে বীজপুরের মানুষকে আজ এতো হা-পিত্যেশ করতে হতো না।সব রাজনৈতিক দলের বারফাট্টাই কোথায় দূর হয়ে যেতো!

দুটি মুখ
তমাল সাহা

করোনায় দীর্ঘ অবসর—
দুই বন্ধুতে কথোপকথন।
কী এলো দুঃসময়, অশুভক্ষণ!
এসময়ে ছিল দু’জনের ভীষণ প্রয়োজন।
একজন বলে,
কি এমন মানুষ তারা,
মানুষকে দেবে পাহারা?

আরে! বাবলুদা-আবুদার মুখচ্ছবি
পড়ছে স্মরণ।

কে কত আগুনখোর বিপ্লবী ছিল
সেটা এখন নিষ্প্রয়োজন। বলো,দুই বীরে দেখা হতো জনতার ভীড়ে—
মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কী বিপুল আয়োজন!
এইসব ভোটবাজি ত্রাণ, চালবাজি চাল
কোথায় চলে যেত দূরে।
মানুষ বলতো, ভয় নেই কোনো,
বাবলু দা,আবুদা,ওই দ্যাখ!
অনুপ্রেরণা হটিয়ে
সাহস জোগায় কেমন করে!

এইসব সাইনবোর্ড মার্কা দলনেতা
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আঙুল চুষতো মুখে
মরমে মরমে মরে যেতো যন্ত্রণায়,দুঃখে।