অবতক খবর, সংবাদদাতা :: রাজ্যে করোনার জন্য ফেল তৈরি করা হলো একটি বিশেষ কমিটি । স্বাস্থ্য দপ্তরে ডেপুটি  ডিরেক্টরের নেতৃত্বে  7 জনের একটি কমিটির তৈরি করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্যদের মূল কাজ থাকবে রাজ্যে করোনা যে হটস্পট তৈরি হয়েছে সেই জায়গা গুলোর উপরে নজর রাখা ও করোনা যাতে আরো বেশি করে সেখান থেকে না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

আপনারা জানেন করোনার জেরে কাঁপছে সারা বিশ্ব। এই অদৃশ্যমান শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছে সারাবিশ্ব। লড়াই চালাচ্ছে আমাদের দেশ ভারত বর্ষ।  মৃতের সংখ্যা দীর্ঘ লম্বা হয়ে চলেছে। এই অদৃশ্য শক্তি কখন কাকে নিজের কবলে নিয়ে নেবে তা বোঝার উপায় নেই । সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা 16 লক্ষ পার করেছে মৃত্যু হয়েছে 95,705 এর বেশি।

আমেরিকায় আক্রান্ত হয়েছেন ইতিমধ্যে চার লক্ষ 65 হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন মারা গেছেন 16 হাজার 498 মধ্যে সবচেয়ে শীর্ষে রয়েছে ইতালি মারা গেছেন 28,279 জন। স্পেনে মৃত্যকে সংখ্যা 15 হাজার 447 জন মৃত্যু হয়েছে 12,210 জনের মৃত্যুর সংখ্যা 3 হাজার 336 জন।

এখন প্রশ্ন চিনে মৃতকে সংখ্যা এত কম কেন ?যেহেতু বিশ্বে সংক্রমণ এই দেশ থেকেই ছড়িয়েছে তারপরেও এই ভাবে দেশের মৃত এতো কম? কি ভাবে তাবা করোনা আক্রান্তদের উপরে নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই করে ফেলেছে?  কি করে কি করে সম্ভব করলো তারা? হ্যাঁ সংখ্যা বলছে চিনে করনা আক্রান্তদের সংখ্যা মৃতদের সংখ্যা তেমন কোনো বৃদ্ধি পাওয়া যাচ্ছে না তারা প্রায় স্থির করে ফেলেছে এই মৃত্যুর মিছিলকে। চীনে এই পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা 3 হাজার 336 জন অন্যদিকে ইউকে তে মারা গেছেন 7978 জন জার্মানিতে আক্রান্তদের সংখ্যা 11,8235 জন কিন্তু মৃতকে সংখ্যা রয়েছে 2607 জন।

আমাদের নিজস্ব দেশ ভারতবর্ষে করনা আক্রান্ত এই মুহূর্তে 6563 জন মারা গেছেন 249 জন । দেশ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে ইন্ডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী মহারাষ্ট্রের মৃত্যু হয়েছে 110 জনের মধ্যে 36 জনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তদের নিয়ে ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে বাংলায় 71 জন মৃত্যু হয়েছে 5 জনের।

মুখ্যমন্ত্রীর জানান যে রাজ্যে সাতটি জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়েছে করো না হটস্পট হিসাবে। এই জায়গার উপরে নজর রাখতে স্বাস্থ্য দপ্তর একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটির নাম ডাটা এনালাইসিস সেল। এই সেলের সমস্ত কমিটির সদস্যরা বৈঠক করবেন প্রতিদিন।

স্বাস্থ্য দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর অসিত বিশ্বাস এই সেলের মাথায় রয়েছেন। তাছাড়াও রয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরে আরো তিনজন উচ্চ আধিকারিক। এছাড়া বাঙ্গুরের ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস্ চিকিৎসক বিমান কান্তি রায় ,রয়েছেন এসএসকেএমের চিকিৎসক সুজয় ঘোষ, সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসক দীপ্তি কান্ত মুখোপাধ্যায়, পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক প্রমিত ঘোষ।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেন যে এই কমিটির সদস্যরা, রাজ্যে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কত জন, মৃত্যু কতজনের হলো সে সমস্ত তথ্য ডাটা সংগ্রহ করবেন ও অ্যানালিসিস করে দেখবেন করোনা ছড়াচ্ছে কেন আর কি কি করনীয়।

রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ে এর আগেও দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল । তারা তাদের কাজ করছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের মধ্যে একটি কমিটির কাজ রাজ্যের  প্রাইভেট নার্সিং হোম বা হাসপাতালে কতজন কোথায় মারা গেলেন কতজন আক্রান্ত সেই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে জমা দেবেন।

এই কমিটির সদস্যরা ইতিমধ্যে প্রচুর করনা রোগীদের নিয়ে তথ্য ও মৃত্যু তথ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে জমা দিয়েছেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত স্বাস্থ্য দপ্তর এনালাইসিস করে নিশ্চিত করে উঠতে পারিনি যে আদও এই মৃত্যু করোনার মৃত্যু নাকি অন্য কোন কারণে।