অবতাক খবর, সংবাদদাতা ::- আজ হুকুম চাঁদ জুট এন্ড টেক্সটাইল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের পক্ষ থেকে থেকে জুটমিল প্রশাসন কে ঘেরাও করা হল। কারণ বিগত সাতদিন আগে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে তারা ডেপুটেশন জমা দিলেও তার কোন প্রদুত্তর পাননি তারা। সেই কারণে আজ সাতদিন পর তারা ওই ডেপুটেশনের জবাব চাইতে জুটমিল প্রশাসনের কাছে গেলে তারা কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি। তাই অফিস ঘেরাও করেন শ্রমিকরা।

ঘন্টা কয়েক আটকে রাখার পর তৃণমূলী শ্রমিকরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কেউই উপস্থিত না থাকার কারণে নিচুতলার অফিসার দের  ৪৮ ঘন্টার সময় দিয়ে ঘেরাও মুক্ত করেন।  সঙ্গে তারা পরিষ্কার জানিয়েদেন যে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের দাবি না মানা হয় বা কোনো উত্তর না পাওয়া যায় তবে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।

ঘটনাস্থলে আসেন ইউনিয়নের অ্যাডভাইজার কমল অধিকারী,উপস্থিত হন ইউনিয়নের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট তথা নৈহাটি পৌরসভার পৌর প্রধান অশোক চ্যাটার্জী,প্রদীপ পুরীরা। তারা বলেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি কর্তৃপক্ষ বৈঠক না করেন, তবে আগামী ৭২ ঘন্টা থেকে তারা বৃহৎ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবেন। আর এতে  সমস্যায় পড়তে হবে মিল কর্তৃপক্ষকে।

জুট মিলের শ্রমিকরা ইউনিয়নের পক্ষে রয়েছেন। তারা এই আন্দোলনে শামিল হবেন বলে জানিয়েছেন। তাদের দাবি, প্রায় যে দু’হাজার শ্রমিক কর্মহীন অবস্থায় রয়েছেন তাদের অতিসত্বর কাজ দিতে হবে। মিলে যে জোর করে ১ ঘন্টা অতিরিক্ত কাজ করানো হচ্ছে শ্রমিকদের দিয়ে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। মিলে দালালচক্র বন্ধ করতে হবে,দালালদের সঙ্গে মিলিত হয়ে টাকা-পয়সার রফা করে বিভিন্ন বিভাগে স্থানান্তর করা হচ্ছে সেটি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, সাড়ে নয় পাউন্ডের উপরে যে স্পিনিং মেশিনগুলি চলে সেটি চালানো যাবে না, কারণ এটি আইনত দণ্ডনীয়।

মিলের পক্ষে কেউ কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি। শ্রমিকদের অভিযোগ সাংসদ সঙ্গে মিলিত হয়ে এস কে চন্দ্রা মিলে ব্রিটিশ রাজ কায়েম করে রেখেছেন। এত বড় মিল তাতে একজন স্থায়ী কর্মী নেই। তারা সকলকে ডেলি ওয়ার্কর হিসেবে বছরের পর বছর বন্ধুয়া মজদুর হিসেবে কাজ করিয়ে যাচ্ছে। এটা আর তারা মানবেন না।