অবতক খবর , রাজ্ , হাওড়া :-  তৃণমূলের মহিলা নেত্রীর উপর হামলার ঘটনায় নিজেরই দলে প্রাক্তন কাউন্সিলরকে গুন্ডা, অপদার্থ বলে সম্মোদন করলেন বালির বিধায়িকা । বুধবার সকালে বালি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৬ জন প্রাক্তন কাউন্সিলার নিয়ে একটি ভবনে দলীয় বৈঠক করেন টিম পিকে । সেই বৈঠকে ডাকা হয়নি বালির বিধায়িকা বৈশালী ডালমিয়াকে । এমনই অভিযোগ তুলে মিটিং এর শেষ মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত হয় বালি ব্লকের প্রাক্তন সভানেত্রী বিজয় লক্ষ্মী রাও । তখনই সেখানে উপস্থিত বেশ কয়েকজন প্রাক্তন কাউন্সিলার চড়াও হয় তার ওপরে ।

এমনকি ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পৌর মাতা শোভা দেবী তাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ তোলেন বালির বিধায়িকা । এর পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন বিকালে একটি বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট করেন বালি বিধায়িকা । যেখানে তিনি তারই দলের প্রাক্তন পুরো প্রতিনিধিদের হুলিগ্যান বলে আখ্যা দেন । শুধু এখানেই থেমে থাকেননি ,ওই প্রাক্তন প্রতিনিধিদের তিনি অপদার্থ ও দুর্নীতিগ্রস্ত বলেও দাবি করেন । পাশাপাশি তিনি আরো বলেন এই সমস্ত লোকেরা যদি দল চালায় তাহলে তিনি দল থেকে সরে যাবার ইঙ্গিতও দিয়েছেন । একইসঙ্গে দলকে তার প্রশ্ন , দলের পুরোনো কর্মী ও প্রকৃত দলকে যারা ভালবাসেন তারা কি শুধুই চোখের জল ফেলবে এবং এক ঘরে হয়ে থাকবে । এই নিয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ করলেন হাওড়া জেলা (সদর) বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা । তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে । শাসক দলকে ব্যঙ্গ করে তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পিকে নামের কোন পদ আছে বলে তার জানা নেই ।

প্রসঙ্গত চলতি সপ্তাহের নবান্ন সহ হাওড়া শহরে বিভিন্ন জায়গায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নামের পোস্টার পরে । ঠিক একই পোস্টার দেখা যায় বালি বিধানসভা অঞ্চলে । এই পোস্টারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কে সততার প্রতীক বলে অভিহিত করা হয়েছিল ।

তার কয়েকদিন আগে মন্ত্রী নিজের দলও দলের নেতৃত্ব কে তুলনা করে বলেছিলেন স্তাবকতা করলেই বেশি নম্বর পাওয়া যায় । সেই কারণেই তার নম্বর কম । এখন হচ্ছে স্তাবকতার যুগ । গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বালি বিধানসভা কেন্দ্রে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে । সাধারণ মানুষের প্রশ্ন তাহলে কি হাওড়ায় শাসক শিবিরে আগামী দিনে কোন ভাঙ্গন ধরতে চলেছে ?