অবতক খবর,২৯ মে: ঘটনার সূত্রপাত পানিহাটি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত অ্যাঙ্গেলস নগরে চেনামুখ ক্লাবের কাছে ব্যবসায়ী রন্টা মাইতির প্লাস্টিক কারখানায় একটি চারচাকা গাড়ি করে তোলা চাইতে আসে বিশু কর্মকার ওরফে চোর বিশু নামে এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী । যে কিছুদিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল । তার সাথে ছিল পাপাই নামের আর এক দুষ্কৃতী যে গাড়িটি চালাচ্ছিল । ওই ব্যবসায়ী তোলা দিতে অস্বীকার করায় তাকে হুমকি দেয় বিশু, সেই সময় ব্যবসায়ী রন্টা পানিহাটি পৌরসভার কাউন্সিলর জয়ন্ত দাস (গোবিন্দ)কে ফোন করে বিষয়টি জানায়, কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানানোর পর তিনি খড়দহ থানার পুলিসকে খবর দেন ।

খড়দহ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় । পুলিশ সেই দুষ্কৃতীদের ধরতে গেলে পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা মেরে তারা চম্পট দেয়, পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আহত হয় খড়দহ থানার পিসি পার্টির এস আই প্রণব দেবনাথ । তাকে সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় । এছাড়া দুষ্কৃতীদের গাড়ির আঘাতে আরো দুজন এলাকাবাসীও আহত হয় ।

দুষ্কৃতীরা চম্পট দেওয়ার সময় ওই এলাকায় অর্থাৎ পানিহাটি অ্যাঙ্গেলস নগর ডা: লাল মোহন ব্যানার্জির রোডের ওপর ও যুগবানি ক্লাব লক্ষ আরো দুটি বোমা মারে । সেইখানে একটি বোমা ফেটেছে অপর বোমাটি ফটেনি, পুলিশ বোমাটি উদ্ধার করে নিয়ে গেছে । সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে পালানোর সময় পানিহাটি ধানকল মোড়ে বি.টি. রোডের ওপর পানিহাটি পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরোপিতা জয়ন্ত দাসের (গোবিন্দ) তৃণমূল কংগ্রেসের পাটি অফিস মাতঙ্গিনী ভবন লক্ষ্য করে পাঁচটি বোমা মারে দুষ্কৃতীরা । চারটি বোমা ফেটেছে ও একটি ফটেনি ।

ঘটনাস্থল থেকে একটি কৌটো বোম উদ্ধার করেছে খড়দহ থানার পুলিশ । বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলে থাকা একজন যুবক আহত হয়েছেন । মোট ৭ টি বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা । ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার পাশাপাশি আতঙ্ক তৈরি হয়েছে পানিহাটি এলাকার মানুষের মধ্যে । এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের ঘটনায় প্রশাসন যথেষ্টই উদ্বিগ্ন । পুলিশকে ও তৃণমূল কার্যালয়ে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীদের বোমাবাজির ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন? পুলিস ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য খড়দহ থানার পুলিশ ব্যাবসায়ী রন্টা মাইতি ও পন্টাই নামে এক দুস্কৃতিকে আটক করেছে ।

পুলিশ সূত্রের খবর, এই পন্টাই দুষ্কৃতী চোরবিশুর সাকরেদ হিসেবেই পরিচিত । পুলিশ আটক করার সময় অভিযুক্তদের পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এলাকার স্থানীয় ক্ষিপ্ত জনতা, মূল অভিযুক্ত কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশু কর্মকার ওরফে চোর বিশু ও যে গাড়ি চালাচ্ছিল পাপাই য়ের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে খড়দহ থানার পুলিশ ।