অবতক খবর,৪ ফেব্রুয়ারি: বীজপুর অঞ্চলে গোষ্ঠীদ্বন্দ থামার কোন লক্ষণ নেই। কখনো সাংসদ-বিধায়ক,কখনো চেয়ারম্যান-প্রাক্তন চেয়ারম্যান,তো কখনো সিআইসি বনাম সিআইসি। আবার কখনো পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছে যে, কর্মীরাই আরেক কর্মীকে মারছে। আজ ঠিক এমনটাই হলো। আজ রবিবার। প্রতিদিনের মতো আজ রবিবারেও সিআইসি দিলীপ ঘোষ প্রতিটি ওয়ার্ড পরিদর্শনে যান। দুপুর ১২টা নাগাদ তিনি কাঁচরাপাড়া মিলননগর সংলগ্ন অঞ্চলে যেখানে নতুন ফ্ল্যাটটি তৈরি হচ্ছে সেখানে তিনি যান। অতঃপর তিনি সেখানকার তৃণমূল কর্মীদের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। জানা গেছে,এই ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয় এবং পাল্টা দিলীপ ঘোষও পাল্টা দিতে ছাড়েননি।

জানা যায়,১২ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীরা যাদের সাথে দিলীপ ঘোষের বচসা হয় তারা পরবর্তীতে উক্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উৎপল দাশগুপ্তকে ফোন করে বিষয়টি জানান। কাউন্সিলর উৎপল দাশগুপ্ত ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ ডাকেন। পুলিশ এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে।

এ নিয়ে সিআইসি দিলীপ ঘোষকে ফোন করলে তিনি বলেন,আমার গায়ে হাত দেওয়ার সাহস এখনো কারোর হয়নি।

অন্যদিকে ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উৎপল দাশগুপ্তর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু বলতে চাননি।

এ নিয়ে ১২ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা পিন্টু ভৌমিক জানান, দিলীপ ঘোষ ১২ নং ওয়ার্ডে মাতব্বরি করতে এসেছিলেন। ছোটন নামে এক তৃণমূল কর্মীকে তিনি অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দিতে শুরু করেন। তিনি ভালোভাবে কথা বললে এত ঝামেলা হত না। আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম বলেই হাতাহাতি বেশি দূর গড়ায়নি।

জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে বীজপুর থানার পুলিশ গিয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

এ নিয়ে এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন,এর আগেও বেশ কয়েকবার কাউন্সিলর উৎপল দাশগুপ্ত এবং দিলীপ ঘোষের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে। কখনো পৌরসভায়,আবার কখনো আবুদার মূর্তি উন্মোচন স্থলে। যা নজর এড়ায়নি কারোর।
এই তৃণমূল নেতা এও বলছেন যে,উৎপল দাশগুপ্ত ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিলীপ ঘোষ,বিগত ঝামেলার প্রতিশোধ নিতে দিলীপ ঘোষ ১২ নং ওয়ার্ডে গিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি করেননি তো? এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এইভাবে যদি একের পর এক গন্ডগোল লেগে থাকে তবে এই গন্ডগোল আগামী পর্যায়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে!