অবতক খবর,২৯ জুলাইঃ হরিণঘাটা ব্লকের কাষ্ঠডাঙ্গা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ রাইখাস কলোনী পাড়ার বাসিন্দা তথা বিজেপির অঞ্চল কনভেনার আনুমানিক বছর ৪২ এর রমেশ দাস গত ২১ তারিখে অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২২ তারিখে হরিণঘাটা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন। শুরু হয় চিকিৎসা। কিন্তু রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গির কোন সংক্রমণ পাওয়া না গেলেও প্লেটলেটস্ কমতে থাকে তার রক্তে।

ফলে তাকে স্থানান্তর করা হয় কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে হচ্ছে চিকিৎসা চলাকালীন করা হয় রক্তের পরীক্ষা সেখানেও ডেঙ্গির সংক্রমণ ধরা পড়েনি।

কিন্তু তার শরীরে রক্তে প্লেটলেসটস্ কমতে থাকে। ক্রমশ তার শরীর অসুস্থ হতে শুরু করে। এই অবস্থায় পাঁচ দিন কেটে যাওয়ার পর গত ২৭ তারিখে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। সেখানেই শুরু হয় চিকিৎসা। রক্ত পরীক্ষা করা হলে ধরা পড়ে ডেঙ্গি। এমতাবস্থায় চিকিৎসা চলাকালীন গতকাল দুপুরে ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে ডেঙ্গির আক্রমণে মৃত্যু হয় রমেশ দাসের জানাই চিকিৎসকরা। এখানেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতাল জেলার এত বড় হাসপাতাল এই হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন রক্তের পরীক্ষায় কেন ধরা পরল না ডেঙ্গি?

অথচ কলকাতার বেসরকারি নার্সিংহোমে ডেঙ্গির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। পাশাপাশি এলাকার মানুষের মধ্যেও খুব রয়েছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। কারণ রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও এলাকায় সঠিকভাবে হয় না ডেঙ্গুর সার্ভে। এলাকায় দেওয়া হয় না ব্লিচিং পাউডার বা মশা মারার তেল। হরিণঘাটা জুড়ে বহু এলাকায় শতাধিক ডেঙ্গীতে আক্রান্ত বলে জানা যায়। কেউবা ভর্তি হাসপাতালে, কেউবা ভর্তি নার্সিংহোমে, কেউ কেউ সুস্থ হয়েছে।

আবার কারো চিকিৎসা চলছে বাড়িতে। এমত অবস্থায় এলাকাবাসীদের খুব চরমে। হরিণঘাটা জুড়ে লাপি লাপি বাড়ছে ডেঙ্গির আক্রান্তের সংখ্যা। অথচ হুশ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে জমা জল জঙ্গল পঁচা গন্ধ ছড়াচ্ছে জন্মাচ্ছে মশা। কিন্তু বিশেষ এক চিত্র ধরা পরল হরিণঘাটার রাইখাস অঞ্চলের রমেশ দাসের বাড়ির সামনে রমেশ দাসের মৃত্যু হতেই নড়েচড়ে বসলো প্রশাসন হুশ ফিরল তাদের। এলাকায় ছড়ানো হলো ব্লিচিং পাউডার সার্ভেতে আসলো দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। স্প্রে করা হলো মশা মারার তেল। সেখানে অভিযোগ সার্ভে করতে আসা কর্মীদের। তাদের যে কাজে নিয়োগ করা হয় সে কাজের বাইরেও অতিরিক্ত কাজের দায়িত্ব দেওয়ায় মূল কাজটি দ্বারা সঠিকভাবে করতে পারে না। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের চাপের মুখে পড়ে তাদের সব কাজই করতে হয়।

ফলে ডেঙ্গির সারভের কাজে গাফিলতি রয়েছে বলে স্বীকার করে নিলেন কাষ্ঠডাঙ্গা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিআরপি সুপারভাইজার শাহিদুল আমিন। আজ সকাল থেকে এই অঞ্চলে তৎপরতার সঙ্গে কাজের ভূমিকায় নজরে পড়ল বিআরপি কর্মীদের।