অবতক খবর,১৯ অক্টোবরঃ সামনেই দীপাবলি। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে এই দিন করা হবে কালীপুজো। করোনার আবহাওয়া কাটিয়ে গোটা দু’বছর পর শক্তির আরাধনা করতে চলেছে আপামর বাঙালি। আর সেই কালী ঠাকুরের মূর্তির জন্যই আপাতত ডাকের কাজ করতে ব্যস্ত কৃষ্ণনগরের একাধিক ডাক শিল্পীরা। কৃষ্ণনগরের চকেরপাড়ায় ডাক শিল্পী আশীষ বাগচীর নাম বোধহয় অনেকেই শুনেছেন। তার প্রধান কারণ কলকাতার বাগবাজারের দুর্গাপুজোর দুর্গা প্রতিমার ডাকের কাজটি তার হাতেই তৈরি হয়ে আসছিল বছরের পর বছর ধরে।

তবে করোনা কেড়ে নিয়েছে তার প্রাণ। তবে তিনি চলে গেলেও তার শিল্পসত্তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন তার মেয়ে আবৃত্তি বাগচী।

পেশায় কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি স্কুলের তিনি শিক্ষিকা। তবে তার বাবা আশীষ বাবু মারা যাওয়ার পরে একটি সংশয় দেখা দিয়েছিল যে এই কারখানা আর চলবে কিনা। তবে সেই সংসারকে রীতিমতো ধুলিস্যাৎ করেই তার বাবার সৃষ্টি করা এই কারখানাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে সে। এবং যাদের কথা বলতেই হয় তারা হলো কারখানার

কর্মীরা। জানা যায় এই কারখানায় মোট পাঁচজন কারিগর রয়েছে যারা আশিস বাবু মারা যাওয়ার পরেও তার মেয়ে আবৃত্তি বাগচীর সাথে জারি রেখেছেন এই কাজ। এবারেও কালী পূজার জন্য একাধিক জায়গা থেকে বরাত মিলেছে তাদের। আপাতত সেই কাজ করতেই ব্যস্ত তারা। স্কুল থেকে ফিরেই আবৃতি কারিগরদের সাথে বসে পড়েন ডাকের কাজ করতে। বাবার সৃষ্টিকে বাঁচিয়ে রাখতেই বাবার পথ অনুসরণ করেছে কৃষ্ণনগর চকের পাড়ার বাসিন্দা আবৃত্তি বাগচী।