অবতক খবর,১৯ অক্টোবরঃ আজ টেট আন্দোলন তিন দিনে পড়লো। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন…..

অবস্থান অনশন চলছে, এটা চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে। এটা মোটেই ভালো নয়। সরকারের ইচ্ছেও নেই, টাকা পয়সাও নেই যে নতুন চাকরী দেবে। এই সব ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ কি সেটা চিন্তার বিষয়। তাঁরা তাঁদের লড়াই করছে। আমরা পাশে আছি। সরকার তাঁদের পাশে নেই। সরকারের ইচ্ছে শক্তি নেই এই সমস্যার সমাধান করার।

আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন! বোর্ড সভাপতির

সরকার কি ঘোষণা করে দিয়েছে যে এই ব্যাচের আর চাকরী হবে না? তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছে, তাঁরা ভেবেছিল সবাই চাকরী পাবে। এই ধারণা তৈরি হয়েছে কেনো? সেই ধারণাটা ভুল না ঠিক সেটা আগেই পর্ষদের বলা উচিত ছিল। এখন যখন চাকরী দিতে পারছে না তখন বলছে চাকরী এখন হবে না।

রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ ? বোর্ড সভাপতির।

দেড় লক্ষ চাকরী বাকি রয়েছে। ১০ হাজার নিয়ে বাতিল করে দেবেন। বাকি ছেলে মেয়েরা করবে কি? বছরের পর বছর নিয়োগ হবে না! এর জন্যে রাজনীতির কি আছে? তাঁরা তো তাঁদের লড়াই করছে। রাজনৈতিক নেতারা যাচ্ছেন নিজের প্রয়োজনে বা তাঁদের সমর্থনের জন্যে। তারা তো ডাকে নি কাউকে। লড়াই অযোগ্যতার বিরুদ্ধে।

মুখ্যমন্ত্রী বলছেন আদালতে গেছেন আলোচনা নয়! এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন,

ওনার সব পরীক্ষাতেই আদালতে যায়। সব জায়গাতেই দু নম্বরই হয়। প্রশ্নপত্র বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে! তার জন্যে কি বলবেন আপনার কোনও দায় নেই! আপনার প্রশাসনের লোকজনদের কোনও যোগ্যতা নেই একটা পরীক্ষা ঠিক করে করাই। পরীক্ষা হলে ঠিক সময় রেজাল্ট বের হোক। রেজাল্ট বেরোলে চাকরী হোক। টেট বা এসএসসি নয় একাধিক ডিপার্টমেন্টে একইভাবে চাকরী হয়নি। এতো ছেলে মেয়েদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে, তাঁরা কোথায় যাবেন!

ভোটার তালিকা প্রকাশ নির্বাচন কমিশনের। জানুয়ারি ফেব্রুয়ারী মাসে ভোট সম্ভবনা,

আমরাও আশা করছি ফেব্রুয়ারিতেই ভোট হবে। সরকার সেভাবেই এগোচ্ছে। রোস্টার ভোটার লিস্ট রেডি করছে। ওরা চেষ্টা করছে আরও বেশি ডামাডোল হওয়া, যে ভাবে সি বি আই এক্টিভ হচ্ছে, তৃণমূলের নেতারা ধরা পড়ছে, প্রশাসন হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, এসবের আগেই ভোট করাতে।

 

মোমিনপুর ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ,

ভালো এটা। কারণ পশ্চিমবঙ্গে সেদিনও বোম ব্লাস্ট হয়েছে। বাজি কারখানা বলে বোম ব্লাস্ট হচ্ছে, হাত পা উড়ে যাচ্ছে, মানুষ মারা যাচ্ছে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন জেলায় এরকম বিস্ফোরণ হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই সন্ধেও ছিল এর পেছনে অন্য কোনো হাত আছে কি না! সেরকম জঙ্গিও ধরা পড়ছে। বিদেশি কোনো চক্রান্ত রয়েছে কি না জানার দরকার আছে। সবাই আশা করছিলেন এনআইএ তদন্ত হলে মানুষের সন্দেহ দূর হবে।

রাজ্যটাকে বিজেপি পর্যটন কেন্দ্র করেছেন, মন্তব্য কুণাল ঘোষ।

আপনারা যদি সরকার চালাতে না পারেন তাহলে প্রশ্ন উঠবে বা অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পাবে। সমস্ত বিষয়ে কোর্টে কেন মীমাংসা হবে! সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন ক্ষমতা নেই। তাই মানুষ বাধ্য হয়ে কোর্টে যাচ্ছে। সে যে কোন বিষয়ই হোক তা চাকরি বা আইন শৃঙ্খলা! সরকারের প্রতি অবিশ্বাসী মানুষকে করে নিয়ে যেতে বাধ্য করছে।