অবতক খবর , মালদহ :       এখন ক’‌দিন ধরে গঙ্গা স্থির রয়েছে। ভাঙনেরও দেখা নেই। কিছুটা স্বস্তির নি:‌শ্বাস ফেললেও দুশ্চিন্তা ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাড়িঘর নিয়ে। গঙ্গা আবার ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে নিমেষের মধ্যে সব তলিয়ে নিয়ে চলে যাবে। তাই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষেরা। বাড়িঘর দ্রুত সরানোর জন্য তাঁরা জেসিবি, ট্রাক্টর ভাড়া করছন। এই সময় বেশ রমরমা বাজার জেসিবি, ট্রাক্টরের। নাওয়া-‌খাওয়ার সময় নেই চালকদের। জেসিবি দিয়ে ভাঙন কবলিত এলাকার বাড়িঘর ভাঙার কাজ চলছে। আর ট্রাক্টরে করে বাড়ির ভগ্নাংশ অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এলাকায় খুব বেশি ট্রাক্টর, জেসিবি নেই। অন্য জায়গা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে। এই সময় প্রায় ১৫০ ট্রাক্টর দিনভর কাজ করছে। এমনকী রাতেও ভাগ্নাংশ সরানোর কাজ চলছে। কালিয়াচক-‌৩ ব্লকের বীরনগর-‌১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চীনাবাজার ও দুর্গারামটোলায় কিছুদিন ধরে শুরু হয়েছিল ভয়াবহ ভাঙন। যদিও এখন কয়েক দিন ধরে গঙ্গা শান্ত। কিন্তু কোন সময় আবার অশান্ত হয়ে ভাঙন শুরু করবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষেরা। তাই ঝুঁকি না নিয়ে রাতদিন এক করে বাড়ি ভাঙার কাজ চলছে। কিন্তু তত নির্মাণ শ্রমিক পাওয়া মুশকিল, আবার সময়ও হাতে কম। তাই বেশি পয়সা খরচ করে জেসিবি ভাড়া করে বাড়ি ভাঙার কাজ চলছে জোরকদমে। এলাকার মানুষের মুখে শোনা যায়, প্রতি ঘন্টায় জেসিবি ভাড়া ১ হাজার টাকা। আবার প্রতি ট্রিপে ট্রাক্টর ভাড়া ৩৫০-‌৪০০ টাকা। নিজের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ফাঁকা জায়গায় গিয়ে বাড়ির ভগ্নাংশ রাখা হচ্ছে।

এক ট্রাক্টর চালক ছোটন মন্ডল বলেন, ‘‌ট্রাক্টকের চাহিদা এখন অনেক। বাইরে থেকে ট্রাক্টর ডেকে নিয়ে আসতে হচ্ছে। দিনরাত কাজ চলছে। আমাদের এখন নাওয়া খাওয়ার সময় নেই।’‌ ভাঙন পীড়িতদের মধ্যে সফিউদ্দিন শেখ, আলিমুদ্দিন শেখরা বলেন, ‘‌বাড়ির পাশেই গঙ্গা। যে কোনও সময় তলিয়ে যেতে পারে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে বাড়িঘর ভাঙার কাজ চলছে।’‌

অন্যদিকে, এদিন বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালের উদ্যোগে চীনাবাজার এলাকায় বিনা পয়সায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। দুর্গত মানুষেরা এদিন এসে এসে চিকিৎসা করান। বিনে পয়সায় ওষুধও বিলি করা হয়।