আমার ভারতবর্ষ! এনআরসি-র বিরুদ্ধে লড়াকু মেয়ে নাতাশা পিতার শেষকৃত্যের পর আবার জেলখানায় গেল ফিরে। স্যালুট টু নাতাশা!

জেলখানায় পাখি
তমাল সাহা

রাষ্ট্রীয় ময়দানে খেলা চলে
ফুটবল যেন কি দাপাদাপি–
সন্ত্রাস নিয়ে।
মেয়েটার নামই হয়ে গেল
এন আর সি মেয়ে।
এক বছরের উপর
আটক ছিল জেলখানায়।
বাবা ছিল বিজ্ঞানী,
মরে গেল করোনায়।

বাবার মৃত্যুর পরদিন—
সেও এক লড়াই
মিলেছিল এক মাসের জামিন।
এই দেশে গণতন্ত্রের মর্মান্তিক অসুখ
মেয়েটি দেখতে পায়নি মৃতবাবার মুখ।

একমাস আর কত দিন!
দেখতে দেখতে সময়সীমা শেষ
হাতে রইলো পড়ে জেল কুঠুরি অবশেষ।
পিতার শেষকৃত্য সেরে
মেয়ে আবার ফিরে যায় গরাদ ঘরে।
গণতন্ত্র দক্ষিণ সাগর পারে
শরীরচর্চা করে।

চোখে ভাসে অন্ধকার কুঠুরি
লোহার লম্বা লম্বা শিক
হাওয়া বাতাস কি খেলে?
গায়ে দগদগে ক্ষত গড়াচ্ছে পুঁজ
ভারতবর্ষের মানচিত্র ঝোলে!

এই মেয়ে, তুই নাতাশা নাকি!
আয়,তোকে নতুন নাম ধরে ডাকি
তুই আমার জেলখানার আগুন পাখি!