নিজস্ব প্রতিবেদক : অবতক খবর : উওর ২৪ পরগনা‌ :     নদীর দিকে তাকালেই ভেসে ভেসে উঠছে মৃত গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি বিষধর সাপ, মাছসহ বিভিন্ন প্রাণী। ৬দিন কেটে গেলেও এখনো জল বন্দি অবস্থায় রয়েছেন সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ পাশাপাশি পোকামাকড়ের ভয় ইতিমধ্যে সাপে কেটেছে একজন মহিলাকে তিনি এখন হসপিটালে চিকিৎসাধীন।

বসিরহাট মহকুমা জুড়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সুন্দরবনের দাপট না দেখালেও নদীর জলোচ্ছ্বাস এবং প্লাবনে ভেসে গেছে গোটা সুন্দরবন, বাদ যায়নি বসিরহাট মহকুমা বিস্তীর্ণ এলাকা হাড়োয়া, মিনাখা, সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ সহ বিস্তীর্ণ এলাকার সাথে সাথে জল বন্দি অবস্থায় রয়েছেন হাড়োয়া থানার খাসবালান্ড নাসির হাটি আটপুকুর সহ বিভিন্ন গ্রামে জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই জমা জলের কারণে বিষাক্ত পোকা মাকড়ের বাসায় নোনা জল ঢুকে পড়ায় পোকামাকড় আশ্রয় নিচ্ছে বসতবাড়িতে এবং বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে ইতিমধ্যে একজন মহিলাকে সাপে কামড় দিয়েছে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

বাড়িতে জল ঢুকে পড়ায় তাড়াতাড়ি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়ে থাকলেও তাদের খাবার এবং পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিচ্ছে পাশাপাশি জমা জলের কারণে রোগের ভয় পাচ্ছে তারা। বিদ্যাধরী নদী দিয়ে ইতিমধ্যে মরা গরু ছাগল মরা মাছ বয়ে চলেছে পূর্ণিমার ভরা কোটাল আসলেই জোয়ারে সেই মরা গরু মাছ গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়ছে এবং তা থেকে জল দূষিত হচ্ছে, তা থেকে ছড়াতে পারে জল বাহিত পেটের উপসর্গ। একদিকে যেমন রয়েছে রোগের ভয়, তেমনি রয়েছে বিষাক্ত পোকামাকড় এর ভয়। সব মিলিয়ে যন্ত্রণায় নাজেহাল সুন্দরবন বাঁসী।

প্রশাসন তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন পাশাপাশি যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা ক্ষতিপূরণ পাবেন সেই আশ্বাস দেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে, ইতিমধ্যে বাধ মেরামতের কাজ চলছে জল সরানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। যত দ্রুত সম্ভব তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায় সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

ওই এলাকাবাসী সুভাষ দাস তিনি বলেন, নদী দিয়ে মরা জীবজন্তু আগেও যেত এখনো যায়, কিন্তু এই ঝড়ের পরে বেশি দেখা যাচ্ছে, এমনকি মানব দেহ ভেসে যাচ্ছে সেটাও এখন মাঝেমধ্যে দেখা যাচ্ছে। আমরা চাই প্রশাসন যত দ্রুত সম্ভব হয় নদীর জল পরিষ্কার করুক, তা না হলে আমাদের নদীর পাড়ে বসবাস করা খুবই দুর্বিষহ হয়ে যাবে।

পরিবেশ প্রেমী শেখ হাফিজ আহমেদ তিনি বলেন, মানুষকে আগে সচেতন হতে হবে, মানুষ সচেতন না হলে নদী কে বাঁচানো যাবে না। তবে এটাও ঠিক ইয়ার্স ঝড়ের পরে সুন্দরবনের বেশিভাগ দ্বীপ গুলো এখনো জলের তলায়, নদীর কুল ছাপিয়ে গ্রামের মধ্যে নোনা জল ঢুকে যাওয়ায় বিভিন্ন প্রাণীর মৃত্যু হচ্ছে। সেই মৃত্ দেহ এই নদী দিয়ে ডুকছে তাতে সমস্যা হচ্ছে গ্রামবাসীদের, তারা বলছেন নদীর পাড়ে বাস করতে পারছিনা, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নদীর গর্ভ পরিষ্কার করা হোক।

চন্দনা মন্ডল হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতি প্রাণিও সম্পদ দপ্তর এর কর্মদক্ষ, তিনি বলেন, শুনতে পাচ্ছি নদী দিয়ে বহু প্রাণীর মরাদেহ ভেসে যাচ্ছে, তা থেকে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমি প্রাণিসম্পদ দপ্তরকে জানাবো যাতে এই ব্যাপারটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, এই মরদেহগুলো নদীর জল থেকে উদ্ধার করে পরিবেশকে সুস্থ রাখা যায় সেটাই দেখছি।