চৈত্রলিপিঃ ১৯২৮
তমাল সাহা

এক) প্রকল্প

বগটুই আমতা মাটিয়া পানিহাটি ঝালদা মগরাহাট…
এবার আরো নতুন প্রকল্প
দূয়ারে তৈরি করো গোরস্থান- শ্মশান ঘাট!

এটা বিশ্বে প্রথমঃ দাফন- দাহন শিল্প!

দুই) ধর্ম

ঘরে নেই এক মুঠো ভাত
পাতলা ডাল এক বিন্দু।
রক্তে ভিজিয়ে ধর্ম
তুই মুসলমান, আমি হিন্দু!

তিন) চাঁদমারি

শ্রীরাম ছেড়ে দাও
কেড়ে নাও তীরধনুক।
চাঁদমারি করো
ভোটবাজরা মরুক।তাতেও নাহলে ধরো বন্দুক।

চার) বর্ণমালা মা আমার

বাংলা বর্ণমালা মা আমার!
তুমিই বলো আমি আর কত নিচে নামবো?
আমার অক্ষরমালা নয়তো তেমন নাব্য
ধর্ষিতা মেয়ের মাথা কোলে রেখে
রক্তস্নাত যোনি দেখি
লিখে যাবো আর কত দৃশ্যকাব্য!

পাঁচ) চোপ

চোপ!
চলছে নয়া উন্নয়ন
দুয়ারে খুন ধর্ষণ

ছয়) অস্ত্রী

হাঁসখালি কি হয়ে গেল হাথরাস!
এখনো চুপ থাকিস তুই?
এবার তো
তোর মুখোমুখি হবার পালা।
আর কত কলমীয় বিন্যাস?
আগ্নেয়াস্ত্র কি হাতড়াস!

সাত) বৃক্ষ নেই
আমাদের এপার ওপার—
ভেঙেছে দুই কুল।
বঙ্গোপসাগর তীরে
আর কোনো বৃক্ষ নেই
সবই তৃণমূল!

আট) তৃণমূলী

তৃণমূলী প্রেমিক আমি
তৃণমূলী প্রেমিকা আমার।
করেছি বলাৎকার
আমি তৃণমূলী ডন
এটা তৃণমূলী ধর্ষণ!
এতে নেই কোনো দোষ
আমরাই জোগাড় খোরপোষ।

আমার মায়ের সিংহাসন
ঠিক ঘোষণা করে দেবে
ছোট ঘটনা,আমি নির্দোষ!

নয়) আগুন বিষয়ক

এখন সে বালিকা
আগুনের দৌরাত্ম্যে জ্বলে পুড়ে ছাই।
তুমি শুধু আগুন দেখো
জ্বলতে বা জ্বালাতে জানো না
যদিও তোমার হাতের কাছে রয়েছে দেশলাই।

দশ) বিক্রেতা

বেচে দিয়েছি স্নায়ুকোষ
ধরে আছি অন্ডকোষ।
কন্ঠ বেচে কবন্ধ হয়েছি
ভয় পাই রাজরোষ।