অবতক খবর,১৪ ডিসেম্বরঃ ঘোলা বিদ্যাসাগর পল্লীর নন্দিতা ঘরামির বছর ছয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল ঘোলা থানা অন্তর্গত বিলকান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতে বাসিন্দা বিশ্বনাথ হালদারের সাথে। অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই ছোটখাটো সমস্ত বিষয় নন্দিতাকে মারধর করত তার স্বামী বিশ্বনাথ। আজ সকালে বিশ্বনাথ নন্দিতার বাপের বাড়িতে ফোন করে জানায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে নন্দিতা। তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পানিহাটি রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে খবর পেয়েই নন্দিতার বোন ও তার মা ছুটে আসে হাসপাতালে। সেখানে এসে তারা জানতে পারেন। মৃত অবস্থায় নন্দিতাকে আনা হয়েছে হাসপাতালে এর পরেই নন্দিতার পরিবার সহ তার পরিজনেরা। এরই মধ্যে হাসপাতালে আসে বিশ্বনাথের মা বাবা ও তার বোন উত্তেজিত জনতা মারধর করে বিশ্বনাথের মা ও বোনকে ঘোলা ধানের পুলিশ এসে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর পিতা অরিন্দম বিশ্বাসের সহযোগিতায় উদ্ধার করে তাদের। এরপরেই হাসপাতালে আসে মূল অভিযুক্ত বিশ্বনাথ হালদার মৃতার পরিবারের সদস্যরা তাকে ঘিরে ধরে হাসপাতাল চত্বরেই তড়িঘড়ি পুলিশ উদ্ধার করে বিশ্বনাথকেও।

ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতের বোন নিবেদিতা ঘরামি জানালেন কোন কারণ ছাড়াই তার দিদিকে মারধর করত তার জামাইবাবু বিশ্বনাথ। আজ সকালে জামাইবাবুর ফোন পেয়েই হাসপাতালে এসে জানতে পারে মৃত্যু হয়েছে তার দিদির। নিবেদিতা অভিযোগ করে হাসপাতালে আসার দেড় ঘন্টা আগেই মৃত্যু হয়েছে তার দিদি নন্দিতার। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন মৃতের বোন নিবেদিতা ঘরামি।

অভিযুক্ত বিশ্বনাথের বাবা জানালেন বিয়ের পর থেকেই সাংসারিক অশান্তি চলছিল ছেলে ও তার বউয়ের মধ্যে। ছেলে ও বৌমার শান্তি রক্ষার স্বার্থে তাদের অন্যত্র থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাও করেছেন তিনি। তবে কি কারনে বৌমার মৃত্যু হল তা জানা নেই তার।