অবতক খবর :: নদীয়া ::    খেজুর গাছ থেকে শুধু খেজুরের রস পাওয়া যায় না তার পাতা থেকেও তৈরি হয় ঘর ঝাড় দেওয়ার ঝাড়ু। নদীয়ার নাকাশিপাড়া থানা এলাকার ওইসব ঝাড়ু শিল্পীরা এখন বড় অসহায় কোনরকমে দিন কাটাচ্ছে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে। সরকারের রেশনের চাল ডাল ছাড়া আর কিছুই জুটছে না কপালে, কাছে ঝাড়ু শিল্পের কার্ড থাকলেও মিলছে না সরকারি অন্য কোন সাহায্য এখন এই ভাবেই দিন কাটাচ্ছে তারা।

লকডাউন এর আগে নাকাশীপাড়া থানা এলাকার হলদি পোতা গ্রামের অধিকাংশই বাড়িতে তৈরি হয় খেজুর পাতার ঝাড়ু। পরিবারের বেশিরভাগই সদস্য ঝাড়ু শিল্পের কাজের সাথে যুক্ত, সারাদিনে খেজুর পাতার ঝাড়ু তৈরি করে রোজগার করতো প্রায় চার থেকে পাঁচশো টাকা তাতে ভালোভাবেই সংসার চলে যেত তাদের। বাড়ির ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালাত এই ঝাড়ু তৈরি করেই, দীর্ঘ লক ডাউন এর কারণে তাদের ক্ষুদ্র শিল্প ঝাড়ু তৈরি কাজ এখন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়, যার কারণে ঘরে ঝাড়ু তৈরি থাকলেও বিক্রি করতে পারছে না গ্রামে গ্রামে।

ঝাড়ু তৈরি করা ছাড়া আর অন্য কোন কাজ জানা নেই হলদি পোতা গ্রাম বাসীদের তাই ঐ ঝাড়ু শিল্পীদের এখন সরকারের কাছে একটাই দাবি, সরকার যেন তাদের দিকে একটু নজর দেয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়াই পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে গ্রামের বেশিরভাগ বাড়ির ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের। তারা আরও বলেন, সরকার শুধু রেশনের চাল ডাল ছাড়া আর কিছুই দিচ্ছে না এখন আমাদের কি উপায় আছে। আমরা চাই আর্থিকভাবে সরকার যদি একটু সহযোগিতা করে তাহলে হয়তো বেঁচে যাবে এই হলদি পোতা গ্রামের ঝাড়ু শিল্প দের পরিবার।