আবাতক খবর ,সংবাদদাতা , পাণ্ডবেশ্বর :- খনি আবাসন এলাকায় ধসের কারণে আতঙ্কিত আবাসিকরা । সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার ৮ নম্বর আবাসন এলাকায় । স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে এ দিন বিকেল সাড়ে তিনটে, চারটে নাগাদ ইসিএলের পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার ৮ নম্বর এলাকায় ধসের ঘটনাটি ঘটে । ধসের ফলে এলাকার একাধিক আবাসন ক্ষতিগ্রস্ত হয় । আবাসনের মধ্যে যেমন ফাটল ধরে তেমনি আবাসনের পাঁচিলের একাংশ ভেঙে যায় ।

বিস্তীর্ণ এলাকায় এর ফলে মাটিও বেশ কিছুটা বসে যায় বলে দাবি করেন আবাসিকরা । রাতে এই ঘটনা ঘটলে বড় বিপর্যয় ঘটতে পারতো বলে আশঙ্কা তাদের । ঘটনার পরই আবাসিকদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ তৈরি হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন সংশ্লিষ্ট খনি ও পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার আধিকারিকদের একটি প্রতিনিধি দল । তাদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন আবাসিকদের একাংশ । আবাসিকদের পক্ষে সিয়ারাম গোপ, যশোয়ারা খট্টর, যোগিন্দর প্রসাদ ভূইয়ারা এই ধসের জন্য খনি আধিকারিকদের ই দায়ী করেন ।

তাদের অভিযোগ খনির নিচে থেকে কয়লা কেটে নেওয়ার পর সেই ফাকা জায়গা বালি দিয়ে ভরাট করা নিয়ম । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই কাজ হয় না বলে অভিযোগ তাদের । আবাসিক রা বলেন আতঙ্ক নিয়ে এই আবাসনে আর থাকতে চাই না । থাকার জন্য দ্রুত অন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হয় বলে দাবি করেন তারা । খনি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন আবাসিকদের অন্য আবাসনে পুনর্বাসন দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হবে । উল্লেখ্য কয়েক মাস আগে কাজোরা এরিয়ার জামবাদ এলাকায় আকস্মিক ধসের ফলে বেশ কয়েকটি পরিত্যক্ত আবাসন তলিয়ে যায় মাটির নিচে । মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার । টানা দশ দিন উদ্ধারকাজ চলার পর মাটি সরিয়ে উদ্ধার হয় ওই মহিলার মৃতদেহ । আজকে খোট্টাডিহি খনি আবাসন এলাকায় ধসের ঘটনায় সেই স্মৃতি ফের উসকে দিলো।