অবতকের বিশেষ প্রতিবেদনঃ স্বাধীনতার ৭৫ বছর ও আমার পতাকা

ক্ষুদিরামের মতো
তমাল সাহা

পতাকার দুঃখ-কষ্ট আছে কিনা আমার জানা নেই। ‌
সে তুমি তাকে তোমার বাড়ির ছাদে রাস্তায় মাঠে লাল কেল্লার মাথায় যেখানে ইচ্ছে ঝুলিয়ে দিতে পারো।
ঝুলিয়ে দিলে সে উড়বেই।

পতাকার উড়তে কোন বছর বা বয়স লাগেনা। সে এক বছর হোক বা ৭৫ বছরই হোক না কেন!
বলতে গেলে পতাকার কোনো বয়স হয় না মানে বুড়ো বা বুড়ি হলেও সে উড়বেই– এটাই তার ধর্ম।

পতাকা দলবদলু কি না আমি জানিনা। তবে কংগ্রেস বিজেপি সিপিএম তৃণমূল ও অন্যান্য আরো যতসব দল আছে সব দলের হাতেই সে ওড়ে।

পতাকার নিজের পছন্দের কথা আমার জানা নেই। তবে নোংরা হাতের ছোঁয়া তার পছন্দ বলেই আমার মনে হয়।ওই যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল তখন থেকেই নোংরা হাতের লোকেরা ওই পতাকা উত্তোলন করছে তা আমার দেখা।
ওইটুকুন তো পতাকা তার আবার অনেক কেরামতি আছে! পতাকার আবার হয়েস্টিং, ফারলিং এসব ব্যাপার স্যাপার আছে।

পতাকা ওড়ানোর অনেক কথা বললাম। আমি কিন্তু নিজে কোনোদিন পতাকা ওড়াইনি। নেতাটেতা গোছের লোকেরাই সাধারণত পতাকা ওড়ায়। আমি সেই অনুষ্ঠান রাস্তায় চলতি পথে দেখেছি। আর এই দেখার জন্য কোনোবার লজেন্স কোনোবার জিলিপি কোনোবার লাড্ডুও পেয়েছি।

আমি ক্ষুদিরামের ফাঁসি দেখিনি। তবে সন্ধ্যায় দেখেছি পতাকা আর ওড়ে না।
বাঁশদন্ডটির গায়ে পতাকাটি শরীর ছেড়ে দিয়ে ঝুলে থাকে ফাঁসিতে ঝোলানো ক্ষুদিরামের মতো।