অবতক খবর , সংবাদদাতা ,দেবাশিস মালিক, ক্যানিং:-   রবিবার সকালে নদীর পাড়ে অবৈধ মাছের ঘেরীতে এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মৃতদেহ ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার মাতলাব্রীজ এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মাতলা-১ ও ২,দিঘীরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্যানিং মাতলা নদীর পাড়ে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মাছের ঘেরী।আর এই সমস্ত মাছের ঘেরী গুলিতে অবাধে চলছে অসমাজিক কার্যকলাপ।এমনকি ক্যানিং এসডিও অফিস,ক্যানিং-১ বিডিও,সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প অফিস গুলি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে গড়ে উঠেছে , এই সমস্ত অবৈধ মাছের ঘেরী গুলি।

পুলিশ প্রশাসন জেনে শুনে নীরব দর্শক হয়ে বসে আসে।বেশ কয়েক মাস আগে এই মাছের ঘেরীকে কেন্দ্রে করে প্রকাশ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল এক যুবকের।আর এদিন সকালে সাধারণ পথযাত্রীরা মাতলাব্রীজ সংলগ্ন মাছের ঘেরীর পাশে এক অঞ্জাত পরিচয় মহিলার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।বছর ত্রিশ বয়সের এই মহিলাকে দেখতে রাস্তার পাশে ভীড় জমে যায় স্থানীয় মানুষজনের।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ক্যানিং থানার পুলিশবাহিনী।পুলিশ অঞ্জাত পরিচয় মহিলা কে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে চিকিৎসকরা এই মহিলা কে মৃত বলে ঘোষণা করেন।তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।অঞ্জাত পরিচয় মহিলার সঠিক পরিচয় এবং ঠিক কি কারণে খুন করা হতে পারে সে বিষয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ মৃতদেহ টি ময়না তদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।স্থানীয় মানুষজন ক্ষোভের সঙ্গে অভিযোগ করে বলেন , ক্যানিং মাতলা নদীর পাড়ে ম্যানগ্রোভ জঙ্গল ধ্বংস করে সরকারি দফতর গুলির সামনে গড়ে উঠেছে অবৈধ অসংখ্য মাছের ঘেরী।আর এই অবৈধ মাছের ঘেরীতে অবাধে চলছে অসমাজিক কার্যকলাপ।এমনকি এই অবৈধ মাছের ঘেরীকে কেন্দ্র করে চলছে প্রতিনিয়ত দুষ্কৃতিদের আনাগোনা।প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত চলে মদের আসর।ফলে বহিরাগত দুষ্কৃতিদের আনাগোনা বেড়েই চলেছে এমন ধরনের ঘটনা।পুলিশ প্রশাসনের উচিত এই সমস্ত অবৈধ মাছের ঘেরী গুলি অবিলম্বে বন্ধ করে দিয়ে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া।পুলিশ জানান এক অঞ্জাত মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।তবে কিভাবে এমন ধরনের ঘটনা ঘটলো সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।