অনেক অনুসন্ধানে জেনেছি আজ তোমার ৯২-তম জন্মদিন–
কানু সান্যাল, এক লড়াকু‌ নাম
তোমাকে অভিবাদন,লাল সেলাম!

কালপুরুষ
তমাল সাহা

একটি মানুষ একটি নাম–
আমরা কি ভুলে গেলাম?
অনেক খুঁজে দেখলাম
তোমার জন্মদিন
দশ জুলাই উনিশশো তিরিশ।
তুমি খেয়েছিলে কৃষক সংগ্রামের বিষ।
চাষিদের সঙ্গে আলোচনা অহর্নিশ।

পার্টি! পার্টি!
একটা সাচ্চা কমিউনিস্ট পার্টি
গড়ার দিকে ছিল তোমার ঝোঁক।
পার্টির প্রেমে পড়েছিলে তুমি,
তুমি এক অদ্ভুত আশ্চর্য লোক!

বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ
শব্দবন্ধ পেয়ে গেল অন্যমাত্রা
নকশাল শব্দটি ঢুকে গেল অভিধানে।
কৃষক বিদ্রোহ তরাইয়ে
তুমি সক্রিয় নেতৃত্ব সেই বিদ্রোহী অভিযানে।

মে দিবস–পার্টির ঘোষণা শহীদ মিনারে
তোমার হাতে উজ্জ্বল সেই প্রাণিত রেডবুক।
মাও সে তুং-এর সঙ্গে তোমার কথা হয়েছিল
জেলবন্দি জীবন তোমার!
সক্রিয় লড়াই,
মনে পড়ে সেই অগ্নিক্ষরা বন্দুক!

জীবনের অন্তিমেও দিয়ে গেছে শিক্ষা
সরকারি চিকিৎসা! করেছ উপেক্ষা।
নীরবে গেছো চলে, নেই কোনো হৈচৈ
রেখে গেছো একটি খড়ো ঘর–
ভেতরে সাজানো মার্কস লেনিন মাওসেতুং-এর বই।