অবতক খবর,২৮ ফেব্রুয়ারি: এই ছবি সন্দেশখালির নয়, এটা কাঁচরাপাড়ার ছবি। আজ সকালে কাঁচরাপাড়া ১৯ নং ওয়ার্ড বিদ্যাসাগর কলোনী শশীবাবু রোড ঘিরে ফেলে বিশাল আরপিএফ। মূলত এই অঞ্চলটি রেল অধ্যুষিত অঞ্চল। তাই উচ্ছেদ করতেই এসেছিল আরপিএফ। সঙ্গে ছিলেন আইডব্লিউ এবং বীজপুর থানার পুলিশ। উচ্ছেদ তো দূরের কথা আরপিএফ এর বিরুদ্ধে ঝাঁটা,চটি হাতে রুখে দাঁড়ালেন অঞ্চলের মানুষ। স্লোগান ওঠে আরপিএফ গো ব্যাক। দুপক্ষের গন্ডগোল বাধার মুখে উপস্থিত হন ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনক সিং। তিনি আরপিএফ এবং আইডব্লিউ অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন। পাল্টা আই ডব্লিউ অফিসার উচ্ছেদের নোটিশ দেখান। ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনক সিং তাদের বলেন, এটি রেলের জমি নয়, রেলের যে লিজ ছিল তার সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে। এখন এখানে আমরা কাজ করতেই পারি,ঘর করতেই পারি। আপনারা নোটিশ দেখান যে, আপনাদের কে পাঠিয়েছে এবং কেনই বা এখানে উচ্ছেদ করবেন।

পরবর্তীতে আই ডব্লিউ অফিসার জানান, উপর মহলের অর্ডার পেয়েই আমরা এখানে এসেছি।

গন্ডগোল সৃষ্টি হতে দেখে আইডব্লিউ অফিসার জানান যে,এখানে গন্ডগোল না করে আপনারা চারজন প্রতিনিধি আসুন আমাদের অফিসে, এসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন এবং উভয় পক্ষেরই কাগজ আমরা দেখব।

এলাকাবাসীদের অভিযোগ, যখন তখন আরপিএফ আমাদের উত্যক্ত করতে চলে আসে। তাদের শুধু প্রয়োজন টাকা।টাকা ছাড়া তারা কোন কাজ করতে দেয় না। টাকা দিয়ে দিলেই তারা চুপচাপ চলে যায়। কিন্তু আমরা আর আর টাকা দেবো না। বাড়ি ঘরের টুকটাক কাজ করতে গেলেও যদি সেখানে টাকা পয়সা দিতে হয় তাহলে আমরা গরীবরা কোথায় যাবো। এত বছর তো টাকা দিয়ে এসেছি,আর কত নেবে!

গন্ডগোল সৃষ্টি হওয়ার আগেই আরপিএফ সেখান থেকে ফিরে যায়।