অবতক খবর,১৮ ফেব্রুয়ারি: কাঁচরাপাড়া শহরের হাল ফিরবে কবে? কবে এই শহরের রূপরেখা পাল্টাবে? কাঁচরাপাড়ার রাজপথে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে টোটোর। কারণ টোটো চলাচলে নাকি জ্যাম হচ্ছিল শহরে। এতে কাঁচরাপাড়াবাসী তথা ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। অতঃপর টোটোর একটি রুট করে দেওয়া হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেই পুরনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তবে এবার টোটো নয়,সেই জায়গায় এবার সমস্যা তৈরি হয়েছে বাগমোড় থেকে স্টেশন পর্যন্ত রুটের অটো নিয়ে।

যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ছে অটো। কাঁচরাপাড়া স্টেশন সংলগ্ন বিবেকানন্দ মার্কেটের পিছনে অটো স্ট্যান্ড ছিল। অটোর সংখ্যা শহরে এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে অটো স্ট্যান্ডে জায়গা হচ্ছে না, তাই সারিবদ্ধভাবে শহরের প্রাণকেন্দ্র গান্ধী মোড়ে এই অটো দাঁড়িয়ে থাকছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। আগে কাঁচরাপাড়া স্টেশনের সামনে থেকে প্যাসেঞ্জার তুলতো অটো, কিন্তু এখন বলা যেতে পারে একপ্রকার রুট হয়ে গেছে গান্ধী মোড় থেকে বাগমোর। অর্থাৎ গান্ধী মোড় থেকেই প্যাসেঞ্জার তোলার জন্য দাঁড়িয়ে থাকছে অটো। অটোর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে অটোর দৌরাত্ম্য বেড়েছে শহরে।

এ প্রসঙ্গে সিটু নেতা শম্ভু চ্যাটার্জী বললেন, “সবই লুটেরাদের অটো। যার ক্ষমতা আছে সে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে অটো নামিয়ে দিচ্ছে। কাঁচরাপাড়ায় আগে হাতে গোনা ২০-২৫টি অটো ছিল। এখন সেই সংখ্যা ৬০-৭০ এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অটো গুলির মধ্যে বেশিরভাগেরই এই রুটের পারমিট নেই। একটা রুটে এত অটো হতে পারে না। একজন করে নেতা পাল্টায় আর দশটা করে অটো ঢুকে যায়। এদের মধ্যে বেশিরভাগেরই সিডিউল রুটের পারমিট নেই। আগে যে সকল বেকার ছেলেদের সংসার চলতো এই অটো চালিয়ে,এখন নতুন অটো ঢুকে যাওয়াতে তাদের পেট চালানো দায় হয়ে গেছে। দিনের পর দিন এই সংখ্যা বাড়তে থাকলে এদের রুটি-রুজি চলবে কিভাবে! এই অটোচালকদের মধ্যে কান পাতলেই জানা যাবে যে, কাকে কত টাকা দিয়ে এই অটোগুলি নামছে। এই সকল অটো নিয়ম মেনে নামানো হচ্ছে না।”