অবতক খবর,২৩শে অক্টোবর: কাঁচরাপাড়ায় ব্যবসায়ী সমিতির কেন্দ্রীয় পরিচালক সমিতি গঠিত হয়ে গেল এক হুকুমে। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মনোনীত হলেন রামাশঙ্কর গিরি, সম্পাদক পদ অর্জন করলেন কানু লাল মজুমদার, কোষাধক্ষ্য হয়ে গেলেন মলয় ঘোষ।

কাঁচরাপাড়ায় ব্যবসায়ীদের রয়েছে দশটি ইউনিট। এই দশটি ইউনিটকে কোনরকম জ্ঞাত না করেই আজ তৈরি হয়ে গেল কেন্দ্রীয় কমিটি। এই কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ দিয়েছেন কাঁচড়াপাড়া পৌর প্রধান কমল অধিকারী, এমনি সূত্রের খবর এবং এই কমিটি যে গঠিত হয়েছে তা তৃণমূল পার্টি অফিসে।

ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন, এভাবে কোন পৌর প্রধান কোনো ব্যবসায়ী সমিতি গঠনে নাক গলাতে পারেন কি? কোনো পার্টি অফিসে কি এইভাবে কোনো ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক সমিতি গঠন করা যায়? এটাতো এক ধরনের স্বৈরাচারিতা। ব্যবসায়ী সমিতির দায়-দায়িত্ব পরিচালনার বিষয়টি একমাত্র ব্যবসায়ীদের, সেখানে পৌর প্রধান নাক গলাবেন কেন? এসবই বিভিন্ন ইউনিটের ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন।

এতদিন যেভাবে ব্যবসায়ী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়েছে তাতে প্রত্যেক ইউনিট থেকে চারজন করে সদস্য নেওয়া হয়েছে। এবার সেই সমস্ত নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে এই যে স্বেচ্ছাচারীর ভূমিকা গ্রহণ করে কমিটি গঠন করা হলো, এটা নিশ্চিতভাবে অবৈধ এবং অন্যায়। কাঁচরাপাড়ার ব্যবসায়ী জীবনের ইতিহাসে আজ নিশ্চিতভাবে একটি কালো দিন। আজ রবিবার ব্যবসায়ীরা বলছেন আজ রবিবার নয়, আজ কালা দিবস, আজ হচ্ছে ব্ল্যাক ডে।

তারা আরো প্রশ্ন তুলেছেন, ব্যবসায়ী সমিতিতে কোন রাজনৈতিক নেতা থাকবেন না, এমনই পূর্বে পৌর প্রধান জানিয়েছিলেন কারণ ব্যবসায়ীদের মঙ্গল একমাত্র ব্যবসায়ীরাই করতে পারে। অথচ এখানে যারা মনোনীত হয়েছেন তারা সকলেই রাজনৈতিক দল, বিশেষভাবে শাসক দল তৃণমূল দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ব্যবসায়ী সংগঠন কি শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত হবে? এবং রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশ মতো চলবে? এই প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।