অবতক খবর, সংবাদদাতা :: করোনা রুগীর লালা রসের পরীক্ষা করে কোলকাতা বা মুর্শিদাবাদ থেকে রিপোর্ট আস্তে প্রচুর দেরি হত। রিপোর্ট না আসার কারণে দিনের পর দিন পুলিশ মর্গে পড়ে থেকেছে মৃতদেহ বা বিনা চিকিৎসায় রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হত রুগীদের তবে এই সমস্যা থেকে এখন আপাতত রেহাই পেতে চলেছে নদীয়া জেলার কল্যাণী কলেজ অফ মেডিসিন এন্ড জেএন এম হাসপাতাল। কারণ এখানে চালু হয়ে গেল কোভিড ১৯ টেস্ট ল্যাব। আর তাই এই জেলায় রোগী ও আশেপাশের রোগীর সংগ্রহীত লালারসের নমুনা এবার টেস্ট করা যাবে এই হাসপাতালেই। আর রিপোর্ট পাওয়া যাবে মাত্র 24 ঘন্টার মধ্যে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর পাওয়া গেছে যে এই ল্যাবের জন্য আইসিএমআর এর অনুমোদন সহ সমস্ত সরকারি অনুমোদন পাওয়া আগেই হয়ে গেছিল । ল্যাবের সমস্ত কাজকর্ম সম্পন্ন হয়ে আজ থেকেই শুরু হয়েছে এই ল্যাব।

হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডঃ অভিজিৎ মুখার্জি জানান আপাতত প্রায় দেড়শ থেকে দুইশ সংগ্রহীত লালারসে নমুনা টেস্ট করা যাবে প্রতিদিন। এভাবেই তৈরি হয়েছে ল্যাব কিন্তু যদি সংক্রামিত রোগী বা সংগ্রহীত লালা রসের সংখ্যা বাড়ে তাহলে আরো টেস্ট বাড়ানো হবে। তিনি আর জানান পরীক্ষা মূলক টেস্ট শুরু হয়েছে। ২-৩ দিনের মধ্যে এখানে ফুল ফ্লেজে কাজ শুরু হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য যে এতদিন কল্যাণী যে এন এম হাসপাতালে সংগ্রহীত লালা রসের নমুনা কলকাতা অথবা মুর্শিদাবাদ পাঠানো হতো কোভিড১৯ টেস্টের জন্য। সেখানে থেকে রিপোর্ট তৈরি হয়ে আস্তে আস্তে কম করে তিন থেকে সাতদিন লেগে যেত । আর ততক্ষণ রুগীর কোন চিকিৎসা করা সম্ভব হত না। তাকে শুধু শুধু বিনাচিকিৎসায় ফেলে রাখতে হতো হাসপাতালে। তাছাড়া তার জন্য অন্যান্য রুগীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রবল ভাবে থাকতো কিন্তু এখন থেকে এই ল্যাব চালু হয়ে গেলে সেই সমস্ত আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাবে হাসপাতাল ও ডাক্তার সমূহ। এছাড়াও মাত্র 24 ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া গেলে সংক্রমিত রোগের চিকিৎসা ও খুব সহজে শুরু করে দেওয়া যেতে পারে। যার ফলে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।