অবতক খবর , নরেশ ভকত, বাঁকুড়াঃ     লকডাউন করোনা গোটা বিশ্বের সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়া গুলো এক নিমিষে ধ্বংস করে দিয়েছে কাজ হারিয়ে নিঃস্ব হতে হয়েছে অনেক সাধারণ মানুষকে । করোনার কবলে পড়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে পদ্ম চাষী সুনিল মাথুর মত পদ্ম চাষীরা ।

নীল আকাশে সাদা মেঘ কাশফুল ও পেঁজা তুলোর গন্ধ জানান দিচ্ছে মা এসে গেছে ঢাকে কাঠি পড়তে আর মাত্র কয়েকটা দিন । নীল আকাশে পুজো পুজো গন্ধ । পদ্মফুল ছাড়া দুর্গাপূজা অসম্পূর্ণ তাই পদ্ম ফুল দুর্গাপূজার অন্যতম উপকরণ হিসাবেই দেখা হয় । কেমন রয়েছেন বিষ্ণুপুরের মরার পঞ্চায়েতের মরার গ্রামের পদ্ম চাষী সুনিল মাথুর সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পৌঁছে গিয়েছিল আমাদের ক্যামেরা । দেখা যাচ্ছে সুনিল মাথুর সকাল থেকে পদ্ম তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সাপের উপদ্রব কে মাথায় রেখেই রাত দিন পরিশ্রম করে পদ্ম চাষ করেছেন দুটো পয়সা ঘরে তোলার আশায় । কিন্তু এবছর বাঁধ সাধলো নোবেল করোনাভাইরাস । অন্যান্য বছর এই সময় এক একটা পদ্ম ১০ টাকা থাকে কিন্তু এবছর এক একটা পদ্ম ফুলের দাম মাত্র তিন টাকা । স্বাভাবিকভাবেই দারুন আর্থিক ক্ষতির মুখে সুনীল মাথুর । পুজোতে বাড়ির সদস্যদের এবছর কিভাবে নতুন জামা-কাপড় কিনে দেবেন আগামী দিনে সংসার চলবে কোন পথে তাই ভেবেই রাতের ঘুম ছুটেছে তার ।

সুনিল মাথুর জানান , অন্যান্য বছর আমি পদ্মফুল কলকাতায় নিয়ে যায় এবং সেখানে বিক্রি করি কিন্তু এ বছর যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় পদ্ম ফুল এখন গুদামজাত করতে হচ্ছে পুজোর আগে বিষ্ণুপুর শহরেই বিক্রি করতে হবে তাতে যদি কিছুটা আর্থিক সুরাহা হয় ।