আজ ৮ মার্চ, বিশ্ব নারীদিবস। ভারতবর্ষের নারীরা এখন লড়াইয়ে, জীবনসংগ্রামের ময়দানে, অবস্থান করছে সিঙ্ঘু, টিকলি, গাজিপুর সীমান্তে।

এতো নারী,এইসব নারী
তমাল সাহা

বনলতা সেনকে খুঁজিনা আর
চাইনা দেখিতে নীরার মুখ
মনসৃজাকে দেখিতেও বড় ভয় করে
যখন আমি হাঁটিতেছি দিল্লি সীমান্তের অভিমুখে
হাড়হিম এই শীতের প্লহরে।

হাজার হাজার নারীমুখের
বিদ্রোহী সৌন্দর্যে কাতর আমি
দাঁড়ায়ে দেখি তাহাদের অবস্থান।
ধৈর্য সহিষ্ণুতা সাহস শপথ– শব্দগুলি
অবিরত খেলা করে
আমার মস্তিষ্কের ভিতর স্নায়ুর গভীরে।
আমি হতবাক দর্শক এক আশ্চর্য দৃশ্যায়নে
নয়া যুদ্ধের মহাপ্রান্তরে।

অসংখ্য মা অগণন প্রেমিকার মুখ
এতদিন লুকায়ে ছিল কোথায়?
কোন শস্যক্ষেতে কোন সোনালী গম গাছের আড়ালে!
আমি ভাবি এরা সবই আমার মনসৃজার মুখ।
মাথার উপরে ঝরে রাত্রির হিম
শীতে রৌদ্রে কপালে জমে
বিন্দু বিন্দু ঘাম
সকলের মুখে খুঁজি আমার প্রিয়তমার নাম।

সামনের সারিতে দেখি
বলিরেখাময় মায়েদের মুখ
এত সীমাহীন মা আছে আমার!
ভাবি নাই কোনোদিন
আমার মায়ের মুখের সঙ্গে
তাদের এত সাযুজ্য অমলিন।

মা মেয়ে প্রেমিকাদের
এমন আশ্চর্য অভিযান
পাশে ব্যারিকেড টিয়ার গ্যাস জলকামান
তুচ্ছ করে তারা সংগ্রামরত কতদিন!
আঙুলের কড়ের গণন স্থির হয়ে যায়।
আমি দেখি সমগ্র ভারতবর্ষের মানচিত্র
উত্তর পূর্ব গোলার্ধের এই দেশ
দক্ষিণ মহাসাগরের এই দেশ
নারীদের সমাবেশে অপূর্ব রঙিন।

এক একজন অর্ধেক আকাশ তখন
আমার নিকট উদ্ধত সঙ্গিন।