অবতক খবর,৫ মার্চ: বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে কে মনোনয়ন পাবেন এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দীর্ঘ আলোচনা চলছিল। অনেকেরই নাম উঠে এসেছিল, শেষ পর্যন্ত সেই মনোনয়ন রীতিমতো যুদ্ধ করে জিতে নিলেন সুবোধ অধিকারী। সুবোধ অধিকারীর মনোনয়ন প্রাপ্তির সংবাদ মাত্রই কাঁচরাপাড়া,হালিশহরে সবুজ আবিরের খেলা শুরু হয়ে যায়।

সে যাই হোক, মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রথম সংবর্ধনার আয়োজন করা হয় ১৮ নং ওয়ার্ডে হরিজন পল্লীর বাজারের মুক্ত অঙ্গনে। সেখানে উপস্থিত হয়ে সুবোধ অধিকারী সমস্ত শ্রেণীর মানুষকে তাঁর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। ‌তাঁর পাশে থাকার জন্য আবেদন রাখেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পরিষ্কার ঘোষণা করে দেন তৃণমূল সরকার যদি ক্ষমতায় আসে তিনি বিজপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে যদি জয়ী হন তবে কাঁচরাপাড়াতে সম্পূর্ণরূপে তোলাবাজি, কামাইবাজি বন্ধ করে দেবেন। এই অঞ্চলে কোন লুম্পেনের রাজত্ব করতে দেবেন না। এটাই তাঁর প্রথম ওয়াদা। নারী-মর্যাদা তিনি রাখবেন। মানুষ এই বিধানসভা অঞ্চলে সুখে শান্তিতে থাকবেন,এইটাই তাঁর কাছে বড় পাওনা।

তিনি উচ্চস্বরে জানিয়ে দেন, তোলাবাজি কামাইবাজি এখানে কিছুতেই চলবে না। যে মুহূর্তে তিনি এই ওয়াদা করেন, ‌তখন উপস্থিত নেতাদের পরস্পরের মধ্যে মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে দেখা যায়। সুবোধ অধিকারীর সমর্থক নন এমন কিছু নেতা সমর্থকদেরও দেখা যায় যারা ওপরে ওপরে সুবোধ অধিকারীর দিকে রয়েছেন। কিন্তু তলে তলে তারা তলোয়ার নিয়ে চলছেন।‌

তৃণমূল নেতা দিলীপ ঘোষ যখন ভাষণ দেন তখন ওইসময়ে উপস্থিত জনতার মধ্যে একটা অন্যরকম সাড়া, অন্য রকম বার্তা শোনা যায়। দিলীপ ঘোষ অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, পার্টি যাকে মনোনয়ন দিয়েছে আমাদের তাঁকেই মান্যতা দিতে হবে এবং তাঁর পাশেই থাকতে হবে। এর অন্যথা কিছু করলে তা কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না।

 

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী সুবোধ অধিকারী বলেন,”ব্যাবসায়ীদের ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে যেটা চলছে তা আর চলবে না। অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা বাইরের কিছু লোককে ব্যবসায়ী কমিটিতে ঢুকিয়ে তাদের চেয়ারম্যান আসনে বসিয়ে রেখেছেন। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় এলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে থেকেই কমিটি গঠন করবো এবং তাদের মধ্যে থেকে একজনকে চেয়ারম্যান পদে বসাবো। কোন বাইরের লোক ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঢুকবে না। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা নিজেদের মতো করবেই নিজেদের লোক নিয়ে স্বাধীনভাবে কমিটি পরিচালনা করবে। আমরা যে উন্নয়ন করবো তা ইতিহাস রচনা করবে এই অঞ্চলে। বিজপুর অঞ্চলে এখনো অনেক কাজ বাকি।”