ভারতবর্ষের শ্রমিক আন্দোলনে একটি অন্যধারার নাম শঙ্কর গুহনিয়োগী।
তাঁর সংঘর্ষ ও নির্মাণ, শ্রমিকের চেতনা উজ্জীবনে একটি নতুন পরিকল্পনা।
মানব জাগরণে তাঁর এই বিশাল কর্মকান্ডের জন্য তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিরোধী পক্ষের চক্ষুশূল। গভীর অন্ধকারে তিনি গেরুয়া দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন, ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯১। জন্মেছিলেন ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বলে তাঁকে দিতে হলো জীবনের মাশুল।

একটি মানুষ
তমাল সাহা

মানুষটি ছিল সাধারণ মানুষেরই মতো
অথচ বিশাল ছিল তার কর্মকাণ্ড,
ফেলেছিল নতুন আলো,
এনে দিয়েছিল
শ্রমজীবী আন্দোলনে নতুন ধারা।
চিন্তার আকাশে ফুটেছিল
দিগদর্শক নতুন নক্ষত্র-তারা।

মজুরি বৃদ্ধিই সব কথা নয়,
আন্দোলনে জুড়ে দিতে হবে
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য চেতনা।
মজদুরকে যেতে হবে বহুদূর…
সুদূরপ্রয়াসী ছিল তার পরিকল্পনা।

শ্রমজীবী হাসপাতাল
শ্রমজীবী বিদ্যায়তন
পাশাপাশি চলুক সংঘর্ষ ও নির্মাণ।
অগ্রণী পতাকা উড়ুক,
লেখা হোক মানুষের জয়গান।

হিংসেয় জ্বলে পুড়ে মরে ওরা।
মানুষের মধ্যে রয়েছে যে
তার লাগে নাকি কনভয়-পাহারা?

মানুষকে বিশ্বাস করো,
মুক্ত এ জীবন।
শুয়েছিল সে জানালা খুলে।
শয়তানের বাচ্চা যারা
হাত বাড়িয়ে খুন করে গেল পিস্তলে।

সত্যিই এমন মানুষ হয় কি নিহত?
মানুষটি বেঁচে থাকে
তার ছায়া হতে থাকে প্রলম্বিত…