অবতক খবর,৪ এপ্রিল: আন্তর্জাতিক মহামারী,প্যান্ডেমিক এন কোভিড-১৯ যা আজ করোনা নামে সুপরিচিত এবং সমাদৃত। করোনা সুন্দরী এসে গেছে বিশ্বজুড়ে। হিমালয় পেরিয়ে, ভারত মহাসাগর পেরিয়ে এই উপমহাদেশেও সে পৌঁছে গেছে। এটা একটা জাতির সংকট, একটা দেশের সংকট। ‌ দেশ চালায় কারা? রাষ্ট্রনায়কেরা। ‌ গণতন্ত্রের প্রথম স্তম্ভ বলে তারা জোর আওয়াজ তোলে। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা পেতে চায় কারণ তারা রাষ্ট্রের মঙ্গল করবে। তারা জনপ্রতিনিধি হতে চায় কারণ তারা মানব সেবায় নিজেদের জীবন উৎসর্গ করবে। ‌

কিন্তু এই দেশে মানুষের আর্থিক কষ্ট দারিদ্র বাড়ে। বছরের পর বছর নির্বাচন আসে, জনপ্রতিনিধি নামে এই বিশেষ শ্রেণীর মানুষদের অর্থের পরিমাণ কোটি কোটি গুণ বেড়ে যায়। তারা সাধারণ মানুষের চেয়েও রাষ্ট্রীয়, আর্থিক, সামাজিক সব রকমের সুযোগ-সুবিধা বেশি পায়। যারা রাষ্ট্রের সেবক,যারা জনসেবক, যারা জনগণের জন্য নিজেদের প্রাণ দেবে বলে শপথ গ্রহণ করে, তারাই উঁচুতে উঠতে থাকে, সাধারণ মানুষ নীচে নামতে থাকে। ‌৭৩ বছর ভারতবর্ষের স্বাধীনতার কাল। ভারতবর্ষের মানুষ ধারাবাহিকভাবে এই ঘটনা দেখে আসছে। ‌

আজকের জাতীয় দুর্দিনে এই এমপি,এমএলএ-দের ভূমিকা কি? তাদের তো এই রাষ্ট্রীয় ময়দানে জনসেবায় নামতেই দেখা যাচ্ছে না। দেশে যে একটা বিশাল মন্ত্রিসভা রয়েছে বোঝা যাচ্ছে না। রাজ্যে যেএকটি মন্ত্রিসভা রয়েছে বোঝা যাচ্ছে না। একমেবাদ্বিতীয়ম– আমিই সব। এই মন্ত্রোচ্চারণ করে এগিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদিজি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ‘সবার উপরে আমরা দুইজন সত্য,তাহার উপরে নাই’। এটিই এখন ভারতবর্ষের প্রবাদ। ‌

রাষ্ট্রীয় এই প্রতিকুলতা, এই বিপর্যয় দূর করতে এদের সক্রিয় শারীরিক বা আর্থিক ভূমিকাটি কি? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। ‌বড় বড় কর্পোরেটরা রাষ্ট্রীয় তহবিলে ত্রাণ দিচ্ছেন কোটি কোটি কোটি টাকা। দিচ্ছেন জাতীয় দুর্দিনে। অত্যন্ত উপকার করছেন। ‌এই কর্পোরেটরা কিন্তু রাষ্ট্রভক্ত। এরা টাকা দিচ্ছে, পরবর্তী সময়ে জনগণকে শোষণ করে তারা সেই টাকা নিশ্চিত তুলে নেবে। আর এই টাকা যে তারা প্রদান করছে বলে বিশাল প্রচার হচ্ছে, এই টাকা জনগণের টাকা। রাষ্ট্রের জনগণকে শোষণ করেই এই টাকা উপার্জিত হয়। জনগণের টাকা জনগণকে দিয়ে আবার জনগণের থেকে তুলে নেওয়ার এক নতুন নাট্যধারা তৈরি হয়েছে ভারতীয় নাট্যমঞ্চে।

আর আমরা নির্বোধ জনগণ মনে করছি বড় বড় শিল্পপতি কর্পোরেটরা আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্য নিশ্চিত আছে। শোষণ করে উপার্জন, উপার্জনের কিছু টাকা দিয়ে আবার সেই টাকা জনগণকে শোষণ করে উঠিয়ে নাও। এই হচ্ছে সেই প্রক্রিয়া।

কিন্তু ভারতবর্ষে রয়েছেন ৫৪৫ জন সাংসদ। ২৪৫ জন রাজ্যসভার সাংসদ। ‌রয়েছেন ৪,১২০ জন এমএলএ/বিধায়ক। এরা জন পরিসেবক। দেশের জন্য এদের প্রাণ বলিপ্রদত্ত। তারা কি করছেন এই মুহূর্তে,লকডাউনের এই সময়ে এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। জনগণ দাবি করবেন কেন? এই রাজনৈতিক প্রজ্ঞাবান মানব হিতৈষীদের স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা উচিত ছিল। জনগণ দাবি তুলেছেন, এরা যদি অন্ততপক্ষে ৫ লক্ষ টাকা করে দান করেন, তবে একটা জাতীয় তহবিল তৈরি হয়। ‌যার পরিমাণ হবে ২৪৫কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।‌ তারা এক্ষেত্রে আগ বাড়িয়ে আসছেন না। এরাই নেতা হয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে জনগণের থেকে টাকা তুলে ত্রাণ তহবিল গড়তে চাইছেন। বিভিন্ন ক্লাব, বিভিন্ন সংগঠন, মধ্যবিত্ত সরকারি চাকুরেরা যে চাকরি করেন সেই অর্থ দিয়ে ত্রাণ তহবিল গড়ে তোলার একটা প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ যত পারো জনগণের কাছ থেকে তুলে নাও। ‌ আমরা আমাদের মতই থাকি। জনগনকে যত রকম উপায়ে পারো শোষণ করো। এখন জাতীয় দুর্যোগ,এখন বৈদেশিক আক্রমণ,এখন প্রাকৃতিক বিপর্যয়,খযা-বন্যা, এখন প্রাকৃতিক বিপর্যয় করোনার আক্রমণ। সুতরাং জনগণ তোমরাই করো সক্রিয় অংশগ্রহণ,তোমরাই দাও। এই অবস্থা চলছে এখন।

একটা রাষ্ট্রকে বাঁচাতে গেলে রাষ্ট্রের যে ভূমিকা থাকে, রাষ্ট্রনায়কদের, রাষ্ট্রনেতাদের, সেই ভূমিকা সাধারণ মানুষের চোখে পড়ছে না। আর এই সাধারণ মানুষও দেখতে দেখতে এত সহ্যশীল হয়ে গেছে,তারা ধৈর্য ধরে রয়েছে চুপচাপ। এর প্রতিবাদ করার ক্ষমতা পর্যন্ত তাদের নেই। ‌ কিভাবে একটা জাতির মেরুদন্ড-শিরদাঁড়া ভেঙে যায়,করোনায় তা প্রমাণিত হচ্ছে।

আর একটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার ঘটে গেছে ইতিমধ্যে ভারতবর্ষে। ‌সেটি নীচের তালিকা দেখলেই বোঝা যাবে। ভারতের কর্পোরেট গ্রুপ প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে কত কোটি টাকা দান করেছেন তা নিশ্চিত ভাবে আপনি বুঝতে পারবেন। ভারতবর্ষের জনসংখ্যা ১৩০ কোটি মাত্র। এই সংগৃহীত তহবিল থেকে যদি ভারতবর্ষের প্রতিটি পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তারা নিজেরাই নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারবে। এবং বাকি বহু কোটি টাকা ভারত সরকারের কাছে গচ্ছিত থেকে যাবে। ভারতবর্ষের রাষ্ট্রনায়করা সেই কাজ কি করবেন? আপনি তালিকাটি দেখলে বুঝতে পারবেন। তাহলে যদি এক কোটি টাকা করে দেওয়া হয় তবে ভারতবর্ষের নিশ্চিতভাবে দারিদ্র মুক্ত হয়ে যাবে।

Donations for corona till now…..

TATA: 1500 crore
ITC: 150 crore
Hindustan unilever: 100 crore
Anil agarwal (vedanta): 100 crore
Hero cycle: 100 crore
Bajaj group: 100 crore
Shirdi temple: 51 crore
BCCI: 51 crore
CRPF: 33 crore
Akshay Kumar, actor: 25 crore
Sun pharma: 25 crore
OLA: 20 crore
Paytm: 5 crore + handwash
Mukesh ambani: 500 crore + hospital
Adani Group 500 crore
Anand Mahindra: Hotels + ventilator
Prabhas , actor: 4 crore
Nadella (microsoft): 2 cr.
Anita dongre: 1.5 crore
Allu arjun:. 1.25 crore
Ram charan: 1.40 crore
Somnath temple trust: 1 crore
Pawan kalyan, actor: 1 crore
Mahesh Babu,actor: 1 crore
Chiranjivi, actor: 1 crore
Hema Malini, actor: 1 crore
Bala Krishna, actor:1 crore
Jr NTR, actor:75 lakhs
Suresh raina , cricketer: 52 lakhs
Sachin Tendulkar, cricketer: 52 lakhs
Sunny deol: 50 lakh
Kapil sharma: 50 lakh
Rajnikant: actor :50 lakh
Sourav ganguli: 50 lakh
Ajim Premji: 1215 cr