অবতক খবর,২৬ আগস্ট: উত্তর ২৪ পরগণার খড়দহ, দক্ষিণ ২৪ পরগণার গোসাবা, দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর, কোচবিহারের দিনহাটা এবং নদীয়ার শান্তিপুরে উপনির্বাচন হবে। সেইসঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে।
তাই এই দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে পুনরায় ভোট হবে।

উল্লেখ্য আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে যে কোনো একটি বিধানসভা থেকে জিতে আসতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নতুবা ছাড়তে হবে তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর পদ।

তাই আজই উপনির্বাচনের গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সৌগত রায়, শুখেন্দু শেখর রায়, মহুয়া মৈত্র, জহর সরকার ও সাজদা বেগম।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গে এখনই উপনির্বাচন চাইছে না বিজেপি দল।

এ প্রসঙ্গে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে কারণ উল্লেখ করে তারা বলেছেন, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের উপ নির্বাচনের পরিস্থিতি নেই। রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। কম লোক নিয়ে চলছে বাস।বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন। এছাড়াও করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অক্টোবরে বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো।

অর্থাৎ পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের করোনা বিধি নিষেধের কথা তুলে ধরেছে বিজেপি নেতারা।তারা বলছেন,এই করোনা বিধিনিষেধের কারণেই বিজেপি দলের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ।গ্রেপ্তার করা হয়েছিল দিলীপ ঘোষ,শুভেন্দু অধিকারী, দেবশ্রী চৌধুরী সহ বিভিন্ন বিজেপি নেতাদের। আর এই ঘটনার কারণে রাজ্য সরকার ১২২টি পৌরসভার নির্বাচন আটকে রেখেছে।

এর পাশাপাশি তারা এও জানিয়েছেন, ভ্যাক্সিনেশন এখনো সম্পন্ন হয়নি। তাই এত তাড়াহুড়ো করছে কেন এখন তৃণমূল! ভ্যাক্সিনেশন সম্পূর্ণ না হলে তারা উপনির্বাচনে পক্ষপাতী নন বলে সূত্রের খবর।