আকাশ গাঙের মেঘ বেয়ে কে আসে, তরীখানি তীরে রেখে জল পাড়ি দিয়ে কে চলে যায়!

আসা যাওয়া
তমাল সাহা

ওই সে আসে
কৃষ্ণচূড়ায় রক্ত পলাশে।
ওই সে আসে
ঝরা বকুলের গন্ধে
শোনো তার পদধ্বনি
নন্দিত বন্দিত মানব ছন্দে!

ওই সে আসে
তোমার প্রতীক্ষায় ছিল
বড় বিলম্ব হয়েছে তোমার
পদচিহ্ন রেখে গেছে দূর্বা ঘাসে।

তুমি কী জানো হে বৈশাখ!
এই মাসে আকাশ গাঙে মেঘ বেয়ে
কে আসে, কে আসে, কে আসে!

কে যায়
দাবদাহে রৌদ্র মাথায়
কদম ফুল ভেজা বর্ষায়
বকুল ঝরে আছে গাছতলায়
কে যায়
ঋতুতে ঋতুতে যে যায় সে তো ঋত্বিক!

এই বৈশাখে
ফুলগুলি ফুটে আছে পলাশের শাখায়
রোদ আলো মাখে পাখির পাখায়
কে যায়
কোন আউলিয়া কোন বাউলিয়া কোন সুফি কোন মুশকিল আসান!

চাষিপাড়া কুমোর পাড়া আদিবাসী মুলুক
বাঁশফোঁড় পাড়া বস্তির সুলুক
সে কী পর্যটক পরিব্রাজক কিবা তার মাধুকরী!

কখনো ঘামে কখনো বৃষ্টিতে ভেজে তার দেহ
শরতে হেমন্তে শীতে বসন্তে পায়ে পায়ে মাটির ঘ্রাণ
জোব্বা গায়ে ঋষিকল্প এক শ্মশ্রুবান
প্রেমে প্রতিবাদে পূজায় দ্রোহে বিদ্রোহে গেয়েছে গান।

মানুষটিকে তোমরা দেখেছো কেউ বা কেহ?
পরবাসে নয়, এই ইহে ছিল তার গৃহ!

তুমি কী জানো হে শ্রাবণের বারিধারা
তরীখানি পারে রেখে
কে যায়, কে যায়, কে যায়!