অবতক খবর,১৮ ডিসেম্বর,চন্দননগরঃদীর্ঘ চার বছর পর এবারও বিশ্বকাপ ফাইনাল ফ্রান্স। মুখোমুখি হবে ফুটবলের জাদুকর মেসির দেশ আর্জেন্টিনার। এককালের ফ্রান্সের উপনিবেশ চন্দননগর বাসী চিরকালই ফ্রান্সকে নিয়ে তাদের গর্বের শেষ নেই। এখানকার রাস্তাঘাট, স্থাপত্য শিক্ষা সংস্কৃতি সবের মধ্যেই মিশে রয়েছে ফরাসি আভিজাত্য তাই রবিবারের বিশ্বকাপ ফাইনালে অধিকাংশ নগরবাসীর সমর্থন রয়েছে ফ্রান্সের দিকে। গত এক মাস ধরে সংগ্রাম করে ফ্রান্স বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে ওঠায় এখানকার আপামোর জনসাধারণ খুশিতে আত্মহারা, গত কয়েকদিন ধরেই চন্দননগরের অলিগলিতে জুড়েই ঝুলছে ফ্রান্সের পতাকা।

বাড়িগুলো ফ্রান্সের লাল নীল সাদা রংয়ের পতাকার রঙে টুনি লাইট দিয়ে সাজানো হয়েছে। নাওয়া খাওয়া ভুলে এখানকার দর্জিরা এক নাগারে সেলাই করে চলেছেন ফ্রান্সের পতাকা। যা শনিবার রাত থেকেই চন্দননগরের প্রতিটি কোনায় শোভা পাবে লাল নীল এবং সাদা রঙের ফ্রান্সের ফরাসি ফ্লাগ ফ্রান্সের মহতারু কাদের ছবি দেওয়া ফ্লেক্স ব্যানার। এখানকার মিষ্টির দোকানগুলোতেও ফরাসি খেলোয়াড় দের আদলে তৈরি করা হয়েছে মূর্তি। সেগুলোও শোভা পাচ্ছে তাদের দোকানের শো কেসে। পাশাপাশি চন্দননগরের শিক্ষা ক্ষেত্রে অন্যতম বড় নাম কানাইলাল বিদ্যামন্দিরের, সেই স্কুলের ক্রীড়া প্রেমী শিক্ষক বিকাশ সাউ নেমে পড়েছেন ময়দানে। তিনি একটি ফ্রান্সের রাজার মুকুট তৈরি করেছেন রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনালের দিন সকাল থেকে তিনি সেই মুকুটটি পড়ে সারা চন্দননগর প্রদক্ষিণ করবেন। তিনি চন্দননগরবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন আপনারা আগামীকাল রাতে সবাই মিলে আসুন আমরা ফ্রান্সকে সাপোর্ট করি।

আবার যেন ফ্রান্স গতবারের মতন এ বছরও বিশ্ব ফুটবল আঙ্গিনায় শীর্ষ শীর্ষে উঠতে পারে। সব মিলিয়ে ফাইনালের আর ২৪ ঘন্টা বাকি, টগবগ করে ফুটছে একদা ফ্রান্সের গর্ব চন্দননগর। আগামীকাল গঙ্গার ধারে স্ট্যান্ডে শীতের হিমেল হওয়ার স্পর্শে গা লাগিয়ে ফুটবল তাপের উত্তাপ নিতে জন্য প্রস্তুত তাদের আশা গতবারে যেমন লুকা মাদ্রিজের দেশ ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এবারেও তারা মেসিদের আর্জেন্টিনাকে টেক্কা দিয়ে তাদেরই বিজয়ীর শিরোপা উঠবে ফ্রান্সের মাথায় এই আশায় বুক বাঁধছে চন্দননগরবাসী।