অবতক খবর,২৫ মে: আজ সকালে এবং গতকাল বিকেলে রেল অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি ঘুরে দেখা যায় যে সেখানে যে বিশাল বিশাল গাছ পড়েছে আমফানের আক্রমণে সেগুলো এখনও সরানো হয়নি। এই তিনদিন যাবত এই ভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় থাকায় এলাকাবাসীরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। রেলওয়ে দপ্তরও এইদিকে কোন নজর দিচ্ছে না।

এই ব্যাপারে পৌর প্রশাসক সুদামা রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে ওই এলাকায় আমরা কাজে হাত লাগানোর চেষ্টা করেছিলাম এবং এই গাছগুলোকে সরিয়ে মানুষের জনজীবন স্বাভাবিক করার একটা চেষ্টা করেছিলাম। ‌কিন্তু যেহেতু এটি রেল অধ্যুষিত অঞ্চল রেল দপ্তর থেকে আরপিএফরা এতে বাধা দিচ্ছে। ফলে আমাদের এই অঞ্চলের অধিবাসীরা খুবই খারাপ অবস্থায় আছে এটা আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি। যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তার চেষ্টা করছি। কারণ এটি রেল অধ্যুষিত অঞ্চল হলেও এরা কাঁচরাপাড়াবাসী এবং তারা এই বিজপুরের ভোটার। সুতরাং আমার একটা কর্তব্য রয়েছে। এই জন্য আমি রেলওয়ে দপ্তরের স্থানীয় যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সি ডাব্লু এমহ-কে চিঠি লিখছি এবং জানিয়ে দিচ্ছি তিনি যদি না পারেন তাহলে তিনি একটি নির্দেশ দিন তাহলে পৌর কর্তৃপক্ষ এই সমস্ত অঞ্চল সাফাইয়ের দায়িত্ব নিচ্ছে এবং আমরা বেশিক্ষণ অপেক্ষা করবো না। এই চিঠির উত্তর না পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্ত অঞ্চল সাফাইয়ের কাজ শুরু করে দেবো যাতে জনজীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

অন্যদিকে পৌর প্রশাসক আরও জানান,ধরমবীর কলোনি সহ অন্যান্য অঞ্চলে যেখানে এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা এবং জল সরবরাহ করা চালু করা সম্ভব হয়নি সেই সমস্ত অঞ্চলে আপাতত কলেজ মোড় থেকে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে তাদের বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহ করা হচ্ছে।