অবতক খবর, সংবাদদাতা ::  বিগত বছর ঠিক এই সময় দেশ তথা রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। গত বছর লোকডাউন ঘোষণার দিনে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা আজকেও রয়েছে একই। কিন্তু বিগত বছরের মতো এখন রাজ্য পুলিশ প্রশাসনে সেই তৎপরতা সেভাবে চোখে পড়ে না। ইতিমধ্যে রাজ্যে ঘোষণা হয়েছে বিধানসভার নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে রাজ্য রাজনীতিতে ততই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। পাশাপাশি এই মাসের শুরু থেকে রাজ্যে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা।

কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর চব্বিশ পরগনার মতো জেলা বরাবরই প্রথম সারিতে ছিল করোনা সংক্রমনের নিরিখে। তবু এই সমস্ত জেলাতে বিভিন্ন জায়গায় সব রাজনৈতিক দলগুলোর মিটিং মিছিল বাইক রেলি সিিচলছে কোনো নিয়ম নীতি বা সুরক্ষা ব্যবস্থা অবলম্বন না করেই। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মানা হচ্ছে না করোনার প্রটোকল। পাশাপাশি দৈনিক সংক্রমনের সংখ্যা দিনদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলাতে চিকিৎসা মহলের কপালেও চিন্তার ভাঁজ। । বারংবার রাজ্যের চিকিৎসক মহল থেকে সাবধান করা হচ্ছে রাজ্যের মানুষকে। তাদের দাবি পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে আগামী মাসে এই রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে।

ইতিমধ্যে কেরালা, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব,,রাজস্থানে আছড়ে পড়ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। তার ফের লোকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে সেই রাজ্যগুলির সরকার। তবু বঙ্গে এখনো অব্দি বিধানসভার ভোট কে নিয়ে যে উন্মাদনা চলছে তাতে চিন্তিত সাধারণ মানুষ। তারা প্রশ্ন তুলেছেন এখন আর কারোরই করোনা নিয়ে ভাবার সময় নেই কারণ সামনে আসন্ন বিধানসভা ভোট। তাই তাদের আশঙ্কা আগামী দিন,খুব ভয়ঙ্কর আসতে চলেছে। কারণ যেভাবে ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলের মিটিং, মিছিল সমাবেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হচ্ছে। তারা মানছে না করোনা বিধিনিষেধ। মাস্ক ছাড়াই চলছে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে। তবে এগুলো সরকারের চিন্তা করা উচিত । তারা দাবি করছেন কোথাও জনসমাবেশ হলে সেখানে ১০০ জন উপস্থিত থাকলে তার মধ্যে হয়তো পাঁচজন মাস্ক পরছে বাকি সবাই মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে । এই জন্য সবাইকে সতর্ক হওয়া উচিত যে কোন রাজনৈতিক দলকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরী।

জনগণের দাবি দেশের নেতারা সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিয়ে ভাবছে না। তারা তাদের নিজের ভোটের কথা চিন্তায় ব্যস্ত, তাই নিজেদের সুরক্ষার দায়িত্ব নিজেদেরকেই নিতে হবে। সবসময় মাক্স স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে ।যেরকম বিগত বছরে সবাই মাক্স স্যানিটাইজার ব্যবহার করেছে।