অবতক খবর,৩০ জুলাইঃ তাল কাটল স্কুল সার্ভিস কমিশনে  নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে বিদ্বজনদের বৈঠকের। শনিবাসরীয় দুপুরে প্রায় ঘণ্টাখানেকের সাংবাদিক সম্মেলনে আচমকাই মেজাজ হারালেন পরিচালক অনীক দত্ত। তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলার’ এক সাংবাদিককে কার্যত আঙুল তুলে কটু ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গেল তাঁকে।

এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পবিত্র সরকার, চন্দন সেন, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও আরও অনেকে। বৈঠক প্রায় ৫০ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পরই তাল কাটল বৈঠকের। ঠিক কী হয়েছিল? এদিনের বৈঠকে ‘জাগো বাংলা’র সাংবাদিক মণীশ কীর্তনিয়াকে সিপিএম আমলের ‘অনিলায়ন’ বিতর্ক ও হোল টাইমারদের চাকরি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা ও আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। বিকাশবাবু সেই অভিযোগের জবাবে দাবি করেন, এই অভিযোগগুলি সবই ‘মিথ’। এরই পাশাপাশি তিনি অনীকবাবুদের উদ্দেশেও প্রশ্ন করেন, কেন তাঁদের কখনও সিপিএমের মঞ্চে এবিষয়ে কথা বলতে দেখা যায় না। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁকে সেভাবে কথা বলতে দেখা যায় না কেন তাও জানতে চান তিনি।

এরপরই বিকাশবাবুর থেকে মাইক্রোফোন হাতে নেন অনীক দত্ত। মণীশবাবুর পরিচয় জানার পরই তিনি ক্রমে মেজাজ হারান। প্রথম তাঁকে আঙুল তুলে বলতে দেখা যায়, ‘আমার ফেসবুক দেখুন। কী বলতে চান আমি বিজেপির দালালি করি? একদম চুপ করে থাকুন।’

এরপরই সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তর হইচই শুরু হয়ে যায়। বিকাশবাবু সবাইকে থামাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে তাল কেটে গিয়েছে বৈঠকের। এরপর বিকাশ ভট্টাচার্য অনীক দত্তের হয়ে ক্ষমা চান। যদিও পাশ থেকে উত্তেজিত অনীককে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি ক্ষমা চাইছি না।’ অনভিপ্রেত এমন পরিস্থিতির জন্য কেউই তৈরি ছিলেন না। স্বাভাবিক ভাবেই উপস্থিত সাংবাদিকরাও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। সব মিলিয়ে বৈঠকটি সেখানেই ভেস্তে যায়।

শনিবাসরীয় দুপুরে প্রায় ঘণ্টাখানেকের সাংবাদিক সম্মেলনে আচমকাই মেজাজ হারালেন পরিচালক অনীক দত্ত।

তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলার’ এক সাংবাদিককে কার্যত আঙুল তুলে কটু ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গেল তাঁকে।

এরপরই কার্যত ভেস্তে যায় বৈঠকটি।