অবতক খবর,১০ মে: বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে যখন রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে তখন সৌভ্রাতৃত্বের সম্প্রীতির উল্টো ছবি দেখা গেল বহরমপুর লোকসভার কান্দি শহরে। ইউসুফ পাঠানের রাজনৈতিক প্রচারে কান্দির হিন্দুরা কান্দির মানুষ সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে হাজির হলো পাঠানের পদযাত্রায়। লর্ড কৃষ্ণকে সাথে নিয়ে আশীর্বাদের মধ্য দিয়ে শুক্রবার সম্প্রীতি ও সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দিল কান্দির বাসিন্দারা আর এই ধরনের প্রচার দেখে খুশি সকলেই।

শুক্রবার পূর্ব ঘোষিত সময় নির্দিষ্ট রুট মেনে সকাল থেকেই কান্দি বিধানসভা এলাকায় কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার কান্দির পুর প্রধান জয়দেব ঘটক প্রমুখদের উপস্থিতিতে শুরু হয় ইউসুফ পাঠানের ভোট প্রচার ।এদিন প্রথম প্রচার হয় গোকর্ণ, রনগ্রাম, গ্রাম গুলিতে। হুডখোলা জিপে চড়ে । পদযাত্রা হয় কান্দি শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড এলাকায়। তারই মাঝে দেখা যায় শহরের বিজয়নগর মহল্লায় উল্টো চিত্র। মনিমালা দাস নামে এক বধূ তার নিজের বাড়ির কৃষ্ণ ঠাকুর কে কোলে নিয়ে শামিল হন ইউসুফ পাঠানের সাথে ভোট প্রচারে। প্রচার শেষে পাঠানের মাথায় কৃষ্ণ ঠাকুর কে ঠেকিয়ে আশীর্বাদ করেন ভোটে জয়লাভের জন্য। মহিলার এ হেনো কাণ্ড দেখে স্বাভাবিকভাবেই সৌভাতৃত্বের কথা উঠে আসে পুরো বাসিন্দাদের কথায়। লর্ড কৃষ্ণর পায়ে মাথা ঠেকিয়ে আশীর্বাদ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করেন প্রার্থী ইউসুফ। বলেন এটাই আমাদের ভারতবর্ষ ।আমরা এই ভাবেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সৌভ্রাতৃত্ব রক্ষা করি। কোন কোন সময় ভুল ভ্রান্তি হয় সেটা মনে রাখতে নাই ।ভালো সব সময় ভালো ।কান্দির মানুষের আশীর্বাদ পেয়ে আমি গর্বিত। এদিন কান্দি শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে সকাল দশটা নাগাদ প্রচার শুরু হতেই যেন সাজ সাজ রব শুরু হয়। শহরজুড়ে রাস্তার দু’ধারে পুষ্পস্তবক নিয়ে যেমন দাঁড়িয়ে ছিলেন মা-বোনেরা পাঠান কে স্বাগত জানাতে তেমনই কিছু কিছু জায়গায় বলতে শোনা যায় আপনার জয় নিশ্চিত।

এই ভাবেই থানামোড়, কুরবান মোড়, হসপিটাল রোড, কোর্ট রোড, হোটেল পাড়া, বিজয়নগর, রূপপুর ,ধল্লাপাড়া, মোল্লাপাড়া, হয়ে পাঠানের পদযাত্রা এদিন শেষ হয় ফের কান্দি বাসস্ট্যান্ডে। এরপরই ইউসুফ রওনা দেন মুনিগ্রাম গ্রামের দিকে জুম্মার নামাজ পড়তে। তারপরে শুরু হয় ফের বিকেলের প্রচার সভা।