৪০ ডিগ্রি, ৪১ ডিগ্রি, ৪২ ডিগ্রি ৪৩ ডিগ্রি…
তীব্র উত্তাপে মানুষ মরে দহন জ্বালায়
ফুটিফাটা মাঠ পুড়ে যায় প্রচণ্ড খরায়।
আল্লাহ! পানি দে, ভগবান! মেঘ দে
কোথায় আল্লাহ, কোথায় ভগবান?
মানুষ অসহায় নিরুপায় অগ্নিকুণ্ডে স্নান।
তারপর?
কাল দুপুরে বৃষ্টি হয়েছিল
তমাল সাহা
১)
বৃষ্টি নামে!
আজ সবাই বৃষ্টির কবিতা লিখবে,
শুনছো হে মিতা?
কেউ লিখবে না কালবৈশাখী ঝড়ের কবিতা!
২)
মানুষ বৃষ্টি চায়, ঝড়কে তার ভয়
সংঘর্ষ ছাড়া নির্মাণ কী হয়?
আগে ঝড় তুলতে হয়
তারপর বৃষ্টির কথা আসে।
আগে তো ঝড় তোলো মানুষকে ভালোবেসে!
৩)
কালবৈশাখীর মধ্যেই
মহাকালের সুগভীর পরামর্শ।
হে রুদ্র নটরাজ!
ভাঙ্গনের মধ্যেই লুকিয়ে উত্থানের রহস্য।
৪)
কেউ কী কিছু জানে
তাদের কী হলো আজ এই বৃষ্টির দিনে?
যারা বসে আছে
মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশে অবস্থানে!
৫)
না হলো সুখ, না হলো স্বস্তি!
একটু স্পর্শ দিয়ে
ডিভোর্সি মেয়ের মত চলে গেল বৃষ্টি।
ঝামেলায় পড়ে গেল
লাইনের ওপারে সমস্ত ঝুপড়ি বস্তি!
৬)
বৃষ্টি তো হয়ে গেল শেষ
তাহলে কী রইলো অবশেষ?
আমার কবিতা বলে,
বৃষ্টির তুমি কিছু কী বোঝো
নারীদের বুকে থাকে একটা নদী!
আমি বলি,
তাতো শুকিয়ে গিয়েছিল,
এখন তো তা জলস্রোতা!
তাহলে কাছে এসো, পাশে বসো
লিখি একটি বারিধারার কবিতা!
৭)
লিখতে লিখতে আমি বলি,
নারীরা তো মৃত্তিকা, নরম মাটির মতো
লুকিয়ে আছে তাতে সুপ্ত ঐশ্বর্য কত!
আসলে মাটিই করে বৃষ্টির আরতি
সৃজন কি করে হয় তুমি তো জানো।
আকাশে মেঘ জড়ো হয়
কেমন অস্থিরতায় স্থির যেন প্রকৃতির মুখ
তারপর ওঠে ঝড়
তারপর বৃষ্টিধারা
প্রকৃতি শুদ্ধস্নাত শান্ত শ্রীমতী
মৃত্তিকা হয়ে পড়ে শস্যবতী!