কালিয়াগঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বিজেপি নেতৃত্বের

অবতক খবর,মালদা,সানু ইসলাম,২৪এপ্রিল: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার গণধর্ষণের ঘটনায় এই মুহূর্তে উত্তাল সারা রাজ্য।দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠছে রাজ্য-জুড়ে। পুলিশ, প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে বিরোধীরা।ইতিমধ্যে কালিয়াগঞ্জে গিয়ে নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে।সেই দাবিতে সহমত জানিয়ে রাজ্য-জুড়ে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি। সোমবার বিকেলে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিজেপি নেতৃত্ব। হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার টাউন লাইব্রেরি হলের পাশে বিজেপির কার্যালয় থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল।

শহীদ মোড় হয়ে সমগ্র হরিশ্চন্দ্রপুর পরিক্রমা করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামনে বিক্ষোভে বসে পড়েন বিজেপি নেতা কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল, বিজেপি নেতা চন্দ্রনাথ রায়, যুব মোর্চা সভাপতি মনোজ দাস, জেডপি ১০ মন্ডল সভাপতি অজয় পাশওয়ান সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।এই বিক্ষোভ মিছিল থেকে শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে সুরক্ষিত নেই রাজ্যের মহিলারা। এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।তারপরে পুলিশ তার মৃতদেহ নিয়ে টানা হেচরা করেছে।

বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে।যা অত্যন্ত নিন্দা জনক।প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছে পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। অভিষেক ব্যানার্জীর নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি সাহস থাকলে অভিষেক ব্যানার্জি নবজোয়ার কর্মসূচি কালিয়াগঞ্জ থেকে শুরু করুক। এদিকে এই বিক্ষোভ মিছিল কে কেন্দ্র করে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৎপর ছিল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী।

উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, আজ রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরও মহিলাদের নিরাপত্তা নেই। মা মাটি মানুষের সরকারে কেও ভালো নেই। একজন নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করে দেওয়া হচ্ছে। তারপরে ন্যায্য বিচার চাইতে আমাদের পথে নামতে হচ্ছে। এই ঘটনা অত্যন্ত লজ্জা জনক। বাংলায় থাকি এটা বলতে এখন লজ্জা হচ্ছে এদের জন্য।

প্রসঙ্গত বিগত তিন দিন ধরে কালিয়াগঞ্জের ঘটনা শোরগোল পড়ে গেছে সারা রাজ্যে। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে সমগ্র ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আত্মহত্যার তথ্য সামনে আনছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের শিশু সুরক্ষা কমিশনের আধিকারিকরা এসে পৌঁছেছেন। যা নিয়ে ফের সংঘাত শুরু হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে।কালিয়াগঞ্জে গণধর্ষণের ঘটনায় তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।