অবতক খবর , পিন্টু প্যাটেল , বর্ধমান :- রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন তো করে দিতেই পারে। কেন্দ্রে তো ওদের সরকারই আছে।এত ভাষণ দেওয়ার কি দরকার আছে।যেমন তিনজন আইপিএস অফিসারকে তুলে নিয়েছে। রাজ্যপালকে অমিত শাহ বলবে রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে দেবে। এই নিয়ে আমাদের গরম খাইয়ে কোন লাভ নাই , বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার সাংসদ অধীরঞ্জন চৌধুরী।
শুক্রবার কলকাতা থেকে বহরমপুর ফেরার পথে বর্ধমানের ডিভিসির সেচ বাংলোয় তিনি জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেন কিছুক্ষণ।তারপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন সংবিধানে কেন্দ্র রাজ্য আলাদা বিষয় উল্লেখ আছে।এইভাবে আইপিএসদের কেন্দ্র সরাতে পারে না। আমার জানা নেই।
আর কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কি হবে নীচুতলার পুলিশ তো তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটের সময় কাজ করবে।সুতরাং শুধুমাত্র বাহিনী নিয়ে ভোট করলেই সব হবে না। আমরা চাই রাজ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। প্রতিটি বুথে বা গ্রামে কি বাহিনী যেতে পারবে।আর সে তো রাজ্য পুলিশের ছাড়া তারা চলতে পারবে না।
সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা নিয়ে তিনি বলেন পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড সরকার চাষীদের এক কুইন্টাল ধানের দাম দিচ্ছে আড়াই হাজার টাকা।কেন্দ্রের টাকার বাইরে সরকার বেশী টাকা দিয়ে ধান কিনছে।সেসব আমাদের রাজ্যে কোথায়।শুধু ভাষণ।
অধীররঞ্জন চৌধুরী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন।শুধু কার্ড করলে হবে না। কোন কোম্পানি বীমা করবে। কোথায় টাকা পাবে ? কেউ জানে না। কোন হাসপাতাল বা নাসিংহোমে চিকিৎসা হবে কেউ কি বলছে।
শুধু বলছে পাঁচ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে দেওয়া হল।যদি এই রাজ্যের চিকিৎসা পরিকাঠামো ভালো হত তাহলে রাজ্যের এত লোক ব্যাঙ্গালোর বা দক্ষিণভারত যেত না।