ঋজুদা চললে কোথায়
তমাল সাহা
ঋজুদার সঙ্গে যে যায়নি জঙ্গলে
সে আর কি করে জানবে প্রকৃতি
চিনবে কি করে অরণ্যরাজি?
একটু উষ্ণতার জন্য যে নগ্ন নির্জনে
হলুদ বসন্তে হাত রাখেনি
সে কি জানে ভালোবাসার?
সবিনয় নিবেদন-এ চিঠির পর চিঠি
প্রেমপত্র হতে হতে শেষপর্যন্ত
পাখি পাখিনীর মতো স্বাধীন উড়াল দেয়
এসব সে জানতো।
কোজাগরে কে বা কারা জেগে থাকে
জীবন যুদ্ধের চেতনায়, সে বলে যায়।
সংসার কখন পুতুল খেলা
সে আমাদের জানিয়ে দেয় আর বলে, নিজেকে ভালবাসতে প্রতিদিন একবার আয়নার সামনে দাঁড়াতে হয়।
মাধুকরী আসলে কি?
দোরে দোরে যাওয়া এবং কি জন্য—
এতে মধু সংগ্রহের কোন জীবন রসদ আছে
হয়তো তারই অনুসন্ধানে এবার ঋজুদা পর্যটক থেকে পরিব্রাজক হয়ে গেল
লুকিয়ে পড়লো আরো কোনো ঘনতম গভীর অরণ্যে!