অবতক খবর,১৯ জুলাইঃ এইসব নারীদের কথা মনে পড়ে। এরা জন্মেছিল বাংলার ঘরে,লড়েছিল ভারতের মুক্তির তরে।এইসব নারীরা দুর্বার, দুর্ধর্ষ,দুর্জয়।
কমলা দাশগুপ্ত জন্মেছিল ১১ মার্চ ১৯০৭ আর আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল ১৯ জুলাই ২০০০। এইসব নারীদের কথা মনে পড়ে।
কালের মন্দিরা
তমাল সাহা
কবিদের লেখা বলে কথা,তা তো অথেন্টিক হবেই।
অনেক কবি নারীদের বুকে চন্দনের সুবাস পেয়ে থাকে
কেউ বা লেখে কমলালেবুর গন্ধ পাওয়া যায়।
কোনো কবি কি এখনো লিখেছে, মেয়েটির বুকে বারুদের গন্ধ ছিল,এমন তো আমি এখনো দেখিনি।
কোনো কবি লিখবে না, তুমি দীনেশের কাছে লাঠিখেলা শিখে ভালোই করেছ।
ররঞ্চ লিখবে মেয়েরা আবার লাঠিখেলা শেখে নাকি?
কবিরা লিখেছে তোমার নরম হাতের আদরে দিনটি উজ্জ্বল হয়ে যায়।
দেখিনি কোনো কবি লিখেছে তোমার হাতে ধরা পিস্তল আমার চেতনায় অভিঘাত আনে।
এই তুমি অন্য বারুদ বালিকাকে কেন রিভলভার সাপ্লাই করো?
আমার হাতেও তুলে দাও একটি অগ্ন্যুপাত!
কবিরা লিখেছে ভালবাসা মজুত আছে তোমার কাছে।
তাই তোমার কাছে বারবার আসি।
কোনো কবি লেখেনি তুমি বোমা মজুত রাখবে বলে হোটেলের ম্যানেজার হয়ে বড় দায় নিয়েছো,এজন্যই তোমাকে ভালোবাসি।
তুমি ডালহৌসি বোমা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছো, জেল খেটেছো, এমন কজন পারে? তুমি আমার ভালোবাসার রমণী।
তুমি যখন আমার কাছে এসে দাঁড়িয়েছিলে তোমার শরীরে কমলালেবুর গন্ধ পাইনি। বারুদের গন্ধ পেয়ে তোমার দিকে তাকাতেই তুমি বললে, ইতিহাসে এম এ হয়েছিলাম সত্যিই, স্বদেশের শৃঙ্খল মুক্তির ইতিহাস তৈরি করব বলে পড়াশুনোই ছেড়ে দিয়েছি– যুগান্তরের ভাবনায় মেতে আছি।
আমি তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি–
রক্তের অক্ষরে কালের মন্দিরা বাজিয়েছিলে তুমি।