অবতক খবর,১৪ই মে: বসিরহাটের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের উত্তরপাড়ায় ১৫৩, নম্বর মহিলা ব্যাটালিয়নের বিএসএফ কনস্টেবল এর মঙ্গলবার ১০ ই মে ভোর রাতে একদল দুষ্কৃতী তাকে মারধর করার পাশাপাশি বেঁধে রেখে ইন্সাস রাইফেল কুড়ি রাউন্ড গুলি নিয়ে চম্পট দেয় বাংলাদেশ । এরপরে একদিকে যেমন সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে বিএসএফ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে বসিরহাট থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

ইতিমধ্যে ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করলে এখনও অধরা আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি। ইতিমধ্যে বিএসএফ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ৩, দালাল বাংলাদেশি ১২,জনকে গ্রেফতার করেছে। সীমান্তের উত্তরপাড়া দেবাশিস সরকার নামে এক দালাল তার বাড়িতে বাংলাদেশিকে আশ্রয় দিয়েছিল সেই অভিযোগে তিনি এখন জেল হেফাজতের। লিং ম‍্যান দেবাশীষ সরকারের বাড়ির সবাই পলাতক।

প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন,দেবাশীষ খুব ভালো ছেলে কি করে কাজের সঙ্গে যুক্ত হলো বলতে পারছিনা বিএসএফ সব সময় কানে পাহারায় থাকে সব মিলিয়ে সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গেল। সম্প্রতিকালে৫,ই মে বঙ্গ সফরে এসে হিঙ্গলগঞ্জ বিএসএফ দের সঙ্গে বৈঠক ও ভাসমান আউটপুট উদ্বোধন করে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একদিকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ অন্যদিকে সীমান্ত পাচার সব মিলিয়ে সীমান্ত সুরক্ষিত পরেও অনুপ্রবেশ ও সীমান্ত পাচার চলছে। রাজ্যসভার তৃণমূলের সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় তিনি বলেছিলেন, সীমান্তে বিএসএফ নিরাপত্তা দেয় দেশের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করুন।

পাশাপাশি পাচারের সঙ্গে বিএসএফের আধিকারিকরা জড়িত। সম্প্রতিকালে দিল্লি থেকে বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই তাকে গ্রেফতার করেছে। তার উদাহরণ টেনে তিনি একথা বলেছিলেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৯৬ ঘন্টা আগে হারিয়ে যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করতে পারেনি সীমান্তরক্ষী বাহিনী। রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গেল