অবতক খবর,২২ মে: ৩০০ পেরোতে বাধা নেই আর বলছেন বিজেপি।

লোকসভায় ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৪২৯ টি আসনের ভোটগ্রহণ সমাপ্তি হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত হয়েছে পাঁচ দফার ভোট গ্রহণ। আগামী ২৫ শে মে ৫৭ টি ও ১জুন ৫৭ টি আসনে ভোটগ্রহণ।

ইতিমধ্যেই বিজেপি দল ঘোষণা করেছেন,
৪০০ আসন না হলেও, আত্মবিশ্বাসী বিজেপি শিবির হিসাব কষে বলেছেন, গতবারের মতো ৩০০ আসন পেরোতে কোন সমস্যা হবে না তাঁদের।

অমিত শাহের দাবি, বিজেপি প্রথম পাঁচ দফার ভোটেই ৩১০ টি আসন জিতে ফেলেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে ঘরোয়া ভাবে দাবি করা হচ্ছে, তারা এই বার ৩০০-৩২০ টি আসন জিততে চলেছে এনডিএ। উল্টোদিকে কংগ্রেসের তথা বিরোধী মঞ্চ ইন্ডিয়া-র নেতা মনে করছেন, গোটা দেশে এনডিএ ৬০ থেকে ৭০ও টি আসন হারাতে চলেছে বিজেপি।

ইতিমধ্যেই লোকসভায় ৫৪৩ টি আসনে মধ্যে ৪২৯টি আসনের ভোট গ্রহণ হয়ে গিয়েছে।
আর বাকি রয়েছে ১১৪ টি আসন। সোমবার পর্যন্ত ৫ দফায় ভোট গ্রহণ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এখনো পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, সোমবার পঞ্চম দফা ৬০.৪% ভোট পড়েছে।

শহুরে এলাকা গুলিতে ভোট কম পড়েছে বলে নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের দাবি।
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির তাঁর বক্তব্য,
মোদির নেতৃত্বে এনডিও হারছে।

সেই সত্যিটা লুকোতে নির্বাচন কমিশন নানা তথ্য খাড়া করছে।

এই কটাক্ষকে, খারিচ করে বিজেপি নেতারা বলেছেন, প্রথম দুটি দফায় কম ভোট পড়ায় দলকে চিন্তায় ফেলেছিল । কিন্তু চতুর্থ দফা পার হওয়ার পরে বিশ্লেষণ, যারা ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা বেশিরভাগই
গেরুয়া শিবিরের ভোটার। পাশাপাশি প্রথম দুই দফার পরে দলীয় কর্মীরা যাতে ভোট দিতে রাস্তায় নামেন তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিজেপি।,
‘যার -সুফল মিলেছে, বলে তাদের দাবি।

মূলত চারটি রাজ্য বিজেপিকে চিন্তায় ফেলেছে – মহারাষ্ট্র, বিহার, কর্ণাটক, তথা পশ্চিমবঙ্গ।
এই চার রাজ্যে মোট আসনের সংখ্যা ১৫৮ টি। যার মধ্যে গতবার
১২৩ টি আসন জিতে ছিলেন বিজেপি। এ যাত্রায় ওই চার রাজ্য থেকে অন্তত ৩০-৩৫ টি আসন কমতে পারে বলে গেরুয়া শিবিরদের ধারণা। সেই ঘাটতি কিভাবে মিটতে পারে, তার কোন নির্দিষ্ট স্পষ্ট দিশা নেই বিজেপি নেতাদের কাছে। কংগ্রেস তথা বিরোধী শিবিরের অঙ্ক হল, মহারাষ্ট্র, বিহার, উত্তর প্রদেশ, কর্ণাটক, রাজস্থান, হরিয়ানা যথেষ্ট সংখ্যায় আসন কমতে চলেছে। দিল্লি, গুজরাত, হিমাচল প্রদেশ, ঝারখান্ড ও অসমে বিজেপি সামান্য কিছু আসন পেতে পারে বলে তাঁদের ধারণা। তবে তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের সরকার থাকলেও বিজেপির কিছুটা আসন বাড়তে পারে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের প্রার্থীরা।