অবতক খবর,৭ সেপ্টেম্বর: হাজিনগর হুকুমচাঁদ জুট মিল এলাকায় উত্তেজিত জনতাকে প্রশমিত করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ঘটনায় জানা গেছে হুকুম চাঁদ জুট মিলের ৭ নং গেট সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল।‌সেই এলাকা পরিষ্কার করে স্থানীয় অধিবাসীরা সেখানে প্রাতঃভ্রমণ করতেন। অঞ্চলের শিশুরা খেলাধূলা করত এবং বিকেলে এই মাঠে অঞ্চলের মানুষজন বৈকালিক ভ্রমণ করত অর্থাৎ অঞ্চলে একটা স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিজেরাই গড়ে তুলেছিলেন।

এটা সত্য যে,এই এলাকাটি হুকুম চাঁদ জুটমিল কর্তৃপক্ষের। এখন স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, তারা তো মাঠটি দখল করেননি। সেখানে জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল সেটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তারা সেখানে কোনো অধিকার কায়েম করেননি। তারা সেখানকার সামাজিক জীবন সুস্থ রাখার জন্য সেটি ব্যবহার করছিলেন।

এ প্রসঙ্গে জুটমিল কর্তৃপক্ষের তরফে লেবার কন্ট্র্যাক্টর রাজু বাবু জানান, এখানে কোন জলের পাম্পের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। আমরা তিনটি জায়গায় সয়েল টেস্ট করছি যে নীচে জল আছে কিনা তাই পরীক্ষা করতে। জুটমিলে প্রচুর জলের প্রয়োজন।

স্থানীয় অধিবাসীরা প্রশ্ন তুলেছেন যে, আপনারা যে সয়েল টেস্ট করছেন, তারজন্য কি পৌরসভার অনুমতি নিয়েছেন? অর্থাৎ পৌরসভাকে না জানিয়ে সেখানে বোরিং-এর কাজ চলছিল,সেটা যেকোনো কারণেই হোক না কেন। জনসাধারণ এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে।‌ফলে পুলিশ ও র্্যাফ আসে এবং তারা কাজ বন্ধ করে দেয়।উত্তেজিত জনতাকে লাঠিচার্জ করে,এ কথা স্থানীয় অধিবাসীরা অভিযোগ জানিয়েছেন।

আরো প্রশ্ন,এই কাজটি আজ অর্থাৎ রাজ্য সরকার ঘোষিত লকডাউনের দিনে কেন করা হচ্ছে? লকডাউনের মধ্যে কি কোন কাজ করা যায়? অঞ্চলের অধিবাসীরা জানান যে, সেখানে যে লেবার কন্ট্র্যাক্টর কাজ করছিলেন,তাতে সহযোগিতা করছিলেন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। এমনই অভিযোগ তারা তুলেছেন। জনগণের স্বার্থ না দেখে পুলিশ তাদের কেন এই লকডাউন পিরিয়ডে সহযোগিতা করছিলেন এই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যাই হোক, আপাতত অঞ্চলে উত্তেজনা রয়েছে এবং বোরিংয়ের কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

হালিশহর পৌর প্রশাসক অঞ্চলে নেই। তিনি এলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।