অবতক ,২২ ফেব্রুয়ারি: হালিসহর সাংস্কৃতিক সংস্থার কক্ষে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালন অনুষ্ঠান কবিতা গান কথায় মূকাভিনয়ে বাঙ্ময় হয়ে উঠল। এই সংগঠনটির সাংস্কৃতিক চলমান যাত্রা একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়।

চেতনার আধারে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানকে তারা ধরতে চায়।

অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে ভাষাশহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য প্রদান করেন উপস্থিত প্রত্যেক সুধীজন।


বাঙালি চেতনা সমৃদ্ধ সংগীতগুচ্ছ পরিবেশন করেন সংস্থার শিল্পীরা। সংস্থার ৪৫ বছরের চলমান স্রোত ও তার কর্মকাণ্ড সম্বন্ধে বিশদ বলেন অন্যতম সংগঠক অর্ণব চক্রবর্তী।
হালিসহর কথামালা সংস্থার শিল্পী সদস্যরা কবিতা গান কবিতা আলেখ্য পরিবেশন করেন।

আবৃত্তি পরিবেশন করেন রিতা কুণ্ডু, সৌম্যদীপ কুণ্ডু এবং তুষার। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন তমাল সাহা ও সোমনাথ বসু এবং স্বরচিত গল্প পাঠ করেন সন্দীপ রায়।
অসিত আচার্য মূকাভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাভাষার প্রতি আবেগঘন মুহূর্ত সৃষ্টি করেন। ভাষা শহীদ স্মরণে সংগীত পরিবেশন করেন হালিশহর বিজ্ঞান পরিষদের পক্ষে প্রবীণ সংগীতশিল্পী কনক ঘোষ। নৃপেন রায়, কৌশিক দেবনাথ, বেণুগোপাল গাঙ্গুলীও তাদের সংগীত মূর্ছনায় দিনটির প্রাসঙ্গিক ভাব তুলে ধরেন। সংগীত পরিবেশনের প্রাক মুহূর্তে নৃপেন রায় দেশ বিভাগ উদ্বাস্তু সমস্যা ও ভারতবর্ষের স্বাধীনতাপ্রাপ্তি বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।

এদিন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রকাশিত হয় তমাল সাহার গদ্যপদ্য সমন্বিত ‘হে মানুষ’ পুস্তিকাটি।
যৌথভাবে উদ্বোধন করেন সাহিত্যিক সাংবাদিক সুনীতি মালাকার, কবি প্রবন্ধকার সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, গল্পকার সন্দীপ রায়, সমাজকর্মী ও গণগায়ক নৃপেন রায়, সমাজকর্মী ও সংগঠক সাগর চ্যাটার্জী ও অর্ণব চক্রবর্তী।
বাংলাদেশে পালিত একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং পুস্তিকাটির বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সুনীতি মালাকার।
উল্লেখযোগ্য ভাবে উপস্থিত ছিলেন নাট্যকর্মী প্রতুল কুণ্ডু, কবি প্রাবন্ধিক রনজয় মালাকার, বিজ্ঞান কর্মী ও প্রবন্ধকার বঙ্কিম দত্ত, সন্তোষ সেন, ত্রিদিব দোস্তিদার সহ অঞ্চলের বিশিষ্ট বহু মানুষজন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অর্ণব চক্রবর্তী ও স্বাগতা মল্লিক।