অবতক খবর,১৫ সেপ্টেম্বরঃ বীজপুর বিধানসভার অন্তর্গত কাঁচরাপাড়া পৌরসভা এবং হালিশহর পৌরসভা প্রসঙ্গে নগরবাসীদের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নগর প্রধানরা নাগরিক পরিষেবায় সরাসরি যুক্ত। সবচেয়ে সহজ সুযোগ এবং সরাসরি সংযোগ রক্ষা করতে পারে নগরবাসীরা নগর প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। কিন্তু হালিশহর পৌরসভার পৌর প্রধান রাজু সাহানি চিটফান্ডের দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন এবং গরাদবাস করছেন।‌ফলত, হালিশহর পৌরসভায় এখন কোন পৌরপ্রধান নেই।

অন্যদিকে কাঁচরাপাড়া পৌরসভাতে নতুন পৌরসভার প্রশাসক নির্বাচনের পর থেকেই মনোনীত কাঁচরাপাড়ার উপ পৌর প্রধান শুভ্রাংশু রায় গরহাজিরার বিষয়ে একটি রেকর্ড করতে চলেছেন। উপ পৌর প্রধানের দায়িত্ব পেয়েও তিনি কেন অনুপস্থিত থাকছেন এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। মূলত শহরের রাজস্ব আদায় মিউটেশন এবং অন্যান্য ব্যাপারে দায়িত্ব পেয়ে থাকেন উপ পৌরপ্রধানেরা। পূর্ববর্তী উপপ্রধানের হাতে যে সমস্ত দায়িত্ব ছিল সেই সমস্ত দায়িত্ব সূত্রের খবর তুলে দেওয়া হয়েছে উপ পৌরপ্রধান শুভ্রাংশু রায়ের হাতেই। অথচ তিনি পৌরসভায় অনুপস্থিত থাকছেন।

শহরবাসী মনে করছেন, তাদের সরাসরি যে যোগাযোগ হালিশহরের ক্ষেত্রে হালিশহর পৌর প্রধান এবং কাঁচরাপাড়ার ক্ষেরে উপপৌর প্রধানের সঙ্গে, তারা তা করতে পারছেন না।‌ফলে শহরবাসীর মধ্যে একটি অন্য বার্তা যাচ্ছে।

 

অন্যদিকে রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলে দিয়েছে যে,তাহলে পৌর প্রতিনিধি নির্বাচিত না হলেও পৌরসভা চালানো যায়? তাহলে নির্বাচনে জনকোষ থেকে তাদের জন্য অর্থ ব্যয় করা হবে কেন? এদিকে পৌরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে যে পৌর প্রধান থাকুক বা কোথাও উপ পৌরপ্রধান না থাকুক সেই পরিষেবার কার্য,কার্যনির্বাহী আধিকারিকরাই চালাতে পারেন পৌর সাংবিধানিক এমনই দায়িত্ব দেওয়া আছে। সংবিধানে যাই দায়িত্ব দেওয়া থাকুক নগরবাসীর প্রশ্ন, তাহলে তো প্রমাণিত হচ্ছে যে, কার্যনির্বাহী আধিকারিক দ্বারাই পৌরসভা চালানো যায়। কার্যনির্বাহী আধিকারিকই যদি পৌরসভা চালাবেন তাহলে তো তথাকথিতভাবে যে অতিবাম দলেরা বলে থাকেন,এই প্রশাসন, এই সাংসদ, এই বিধানসভা, এই পৌরসভা খোয়াড়ে পরিণত হয়েছে সেটাই প্রমাণিত হয়।