অবতক-এর বিনীত আবেদনঃ
করোনা সংক্রান্ত বিভ্রান্তি ছড়াবেন না

অবতক খবর,২০ এপ্রিল: গতকাল রাতে হালিশহর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আচার্য্য পাড়ায় গীতা মন্ডল (৩৭) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। গতকাল বাড়াবাড়ি হওয়ায় তাকে গতকাল রাতে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই রাস্তায় তিনি মারা যান। এরপর কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

কারণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান যে, মহিলা কি কারণে মারা গেছে তা স্পষ্ট নয়। সেই কারণেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে বেলেঘাটা আইডিতে পাঠানো হয়েছে। আর এই ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছে আচার্য্য পাড়ায়।

হালিশহর পৌরসভার পৌরপ্রধান অংশুমান রায় জানান যে, গীতা মন্ডলের পরিবারের যা যা প্রয়োজন তা পৌরসভার পক্ষ থেকে মেটানো হবে। কিন্তু মৃত গীতা মন্ডলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি মৃতদেহ যারা যারা ছুঁয়েছিল তাদের ওই অঞ্চলের একটি বাড়িতে আলাদা করে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে পৌরসভার তরফেই জানানো হয়েছে এখন একটি বোর্ড কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু পৌরপ্রধান অংশুমান রায় কথজোড়ে শহরবাসীকে অনুরোধ করেছেন যে, রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কেউ কোনো গুজব রটাবেন না। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি। কারণ গীতা মন্ডলের পরিবারের করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা খুব কম। তিনি একজন গৃহবধূ ছিলেন। তার পরিবারের কেউ বাইরে থেকে আসেনি এবং কোন সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শেও আসেনি। সুতরাং এখনই ভয়ের কোন কারণ নেই। শুধু মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।

আমরা অবতক-এর পক্ষ থেকে আপনাদের বারবার অনুরোধ করছি অকারণে কেউ বাইরে বেরোবেন না। তবে ইতিমধ্যে দেখা গেছে আঞ্চলিক কিছু মানুষ এই বিষয়টি নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। ফলে ওই অঞ্চল এবং আশেপাশের অঞ্চলের মানুষ যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু আমরা অনুরোধ করবো কোন গুজবে কান দেবেন না। বিশ্বজুড়ে এখন যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তাতে অল্পতেই মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। কারণ বিষয়টি এতটাই সংবেদনশীল যে, আশেপাশের মানুষ সামান্য অসুস্থ হলেও মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।আমরা সকলের কাছে অনুরোধ করছি, আপনাদের আশেপাশে যারা বাইরে থেকে আসছেন বা এসেছেন তাদের উপর নজরদারি রাখা হোক। কিন্তু গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা কেউ ছড়াবেন না। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনি নিজের দায়িত্ব পালন করুন। অপরকে অকারণে দোষারোপ করবেন না। নিজে সচেতন হলে তবেই আশেপাশের মানুষ সচেতন হবে। যা পরিস্থিতি এখন কোন উৎসব পালন চলছে না। যখন তখন বাজার হাটে যাবেন না। একসাথে কয়েকদিনের বাজার করে রাখুন। রোজ রোজ বাজারে গেলে আপনারই বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে। ফলে বিপদে পড়তে হবে আপনার আশেপাশের মানুষজনকেও। প্রশাসনকে নিজের কাজ করতে দিন। এই সময়ে সকলকে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা বারবার অনুরোধ করছি বাড়িতে বসে থাকতে হবে, বাইরে বেরোলে চলবে না।

কিছু কিছু মানুষ এমন বিভ্রান্তিমূলক
সংবাদ পরিবেশন করছেন যে পরে সেগুলোকে ডিলিট করতে হয়েছে। এতে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। এমন কোন সংবাদ পরিবেশন করবেন না যাতে পরবর্তীতে সেগুলো ডিলিট করতে হয়।