অবতক খবর, সাজ্জাদ হোসেন আহমেদ, কোচবিহার  ::  বয়স পুরো একশ বছর ,পুত্র সন্তানহীন এক মহিলা আজোও পায় নি কোন সরকারি সুযোগ। গোসাইরহাট জিপির ছোটো পিঞ্জারিরঝাড় গ্রামের বাসিন্দা সুরোবালা বর্মন বর্তমানে বয়সের ভারে নুব্জ। স্বামী কুলীন বর্মন মারা গেছেন তিরিশ বছর আগেই। সন্তান বলতে দুই মেয়ে, তারাও ঘর সংসার করে পরোলোকে।

সুরোবালার ভরসা এখন মেয়ের ঘরের নাতি মন্টু বর্মন। সেও ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়। তবুও কোনো রকমে দিন আনি খাই করেও দিদাকে ঠাই দিয়েছেন নিজের বাড়িতে। দিদা শতবর্ষ পূর্ণ করেও চলাফেরায় সক্ষম পুরোদস্তুর। আমাদের প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাৎকারে জীবনের কিছু কথা কিছু অভিযোগ জানালেন সুরোবালা বর্মন।

তিনি জানালেন, সে সময় অল্প বয়সেই তার বিয়ে হয়। কৃষিকাজের জীবন নিয়ে পথচলা। সংসার সামলাতে ঢেঁকি ছেটে চাল বিক্রি করতেন তিনি নিজে। একটাকা কেজি দরে তখন চাল বিক্রি করে যা আয় হতো সেটা সংসারের কাজে লাগতো। তখন ধানের দাম ছিল মণ প্রতি 15/16 টাকা মাত্র।

কষ্টের জীবনে তার সন্তান বলতে দুটি মেয়ে। ছেলে না থাকায় স্বামীর মৃত্যুর পর মেয়ের ঘরেই চেপে যান শতোর্ধ্বো সুরোবালা বর্মন। তিনি অভিযোগ করলেন এত বছর হলো কোনো রকম সরকারি সুযোগ সুবিধা পাই নি। ভাতা তো দূরের কথা একটা ঘরও কেউ আমাকে দিলো না।