অবতক খবর,৪ এপ্রিল,মালদা:- হাওড়ার রিষরা কাণ্ডে বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা মালদার তৃণমূল দলের পঞ্চায়েত পর্যবেক্ষক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মঙ্গলবার মালদা সফরে এসে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, বাংলায় জাতি ধর্মের কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা এক ছিলাম এবং এক থাকবো। কিন্তু বিজেপি তাদের একটি ধর্মীয় মিছিলের নামে অস্ত্র নিয়ে প্রদর্শন করেছে। সন্ত্রাস কায়েম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজেপি সস্তায় রাজনীতি করার জন্য রামনবমীর নামে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। প্রশাসন পুরো ঘটনার তদন্ত করছে। আমরা চাই বিজেপি যে সন্ত্রাস তৈরির বাতাবরণ তৈরি করেছে, তা প্রতিহত করবে এই বাংলার মানুষ। তবে শান্ত রিষরাকে অশান্ত করার মূলে রয়েছে বিজেপি । আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এদিন মালদা শহরের নতুন সার্কিট হাউসে তৃণমূল দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে এক প্রস্তর বৈঠক করেন পঞ্চায়েতের মালদার পর্যবেক্ষণ তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তিনি বলেন, দলের মধ্যে সামান্য কিছু মনোমালিন্য থাকতেই পারে। সেটা আভ্যন্তরীণ বিষয়। তা মিটিয়ে ফেলা কোনো ব্যাপার নয়। কিন্তু কোথাও কোনো গোষ্ঠীকোন্দল নেই । এই গোষ্ঠী কোন্দলের কথা বারবার বিরোধীরা অপপ্রচার করে উস্কিয়ে দিচ্ছে । তবে এতে কোনো লাভ হবে না। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ফল খুব ভালো হবে।

এদিন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি ছাড়াও জেলার অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক ,মালদা জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য সহ দলের পদস্থ নেতৃত্বদের সঙ্গে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, মালদার আম আর মালদার মানুষ দুটোই মিষ্টি । মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় জেলা মালদা এবারেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে চমকপ্রদ ফল করবে। তবে এদিন জেলার তৃণমূল দলের নেতৃত্বদের সঙ্গে আভ্যন্তরীণ বৈঠক করা হয়েছে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিরোধীশূন্য করতে হবে। কোথাও কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে কিনা সেইসব বিষয়গুলি নিয়ে এদিন এক প্রস্তর আলোচনা হয়েছে।

এদিকে মন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের পর তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, এদিন জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য থেকে শুরু করে মালদার মন্ত্রী এবং অন্যান্য দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক তথা গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। আমাদের এখন লক্ষ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীশূন্য বোর্ড গঠন করা। জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে তৃণমূল জয় লাভ করবে, তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন আলোচনা হয়েছে।