অবতক খবর,৩০ মেঃ বীজপুরে এখন দেখা যাচ্ছে যে,কিছু কিছু কাজ বেশ ভালো হচ্ছে। আর কিছু কাজ ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে দলের কিছু প্রিয় মানুষের উপর। কিন্তু এতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বীজপুরের সাধারণ মানুষ।

আমরা মূলত কথা বলছি কাঁচরাপাড়া পৌরাঞ্চলের। একদিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র গান্ধীমোড় সংলগ্ন অঞ্চলে হকারদের তুলে দেওয়া হল,অন্যদিকে সেখানে ব্যবস্থা করা হলো যানবাহন রাখার।

যাদের তুলে দেওয়া হলো তারা আন্দোলন করেও কোন সুরাহা পেলেন না, অর্থাৎ বসার ব্যবস্থা করা হলো না। তারা এখন কার্যত পথে। তবুও তারা আশায় বুক বেঁধেছেন যে হয়তো ফের তাদের বসার ব্যবস্থা করা হবে।

তবে এতে অত্যন্ত খুশি কাঁচরাপাড়ার স্থায়ী ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের খুশি করতে গিয়ে আর শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা নারাজ। পৌরসভার এই দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। কারণ দেখা যাচ্ছে,কাঁচরাপাড়া স্টেশন থেকে ফুটপাত পর্যন্ত যে হকার তুলে দেওয়া হয়েছে, তা সত্ত্বেও মূলত দুটি অভিযোগ উঠে আসছে।
তাদের প্রথম অভিযোগ,এত গাড়ি তো আগে ছিল না। হঠাৎ করে এত গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পেল কিভাবে? যানবাহন রাখার জন্য যে জায়গাটি তৈরি করা হয়েছে সেটি ভর্তি হয়ে আশেপাশে এবং বিভিন্ন দোকানের সামনে মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে যানবাহন রেখে চলে যাচ্ছে।

দ্বিতীয় অভিযোগ,গান্ধীমোড় থেকে কালীনগর রোড পর্যন্ত যে ফুটপাত করা হয়েছে সেই রাস্তায় যেভাবে ভিড় হচ্ছে এবং যারা অস্থায়ীভাবে দোকান দিয়েছে তারাই এখন ব্যবসা করতে পারছে না।

ওই রাস্তায় যেসব ফলের দোকান রয়েছে,তারা রাস্তার পাশে ফলের দোকানও দিচ্ছেন,নিজেদের গাড়ি, মালপত্র ইত্যাদি সব রেখে জায়গা ঘিরে রেখেছেন। ফলত, পেছনের স্থায়ী দোকানগুলি ঢাকা পড়ে যাচ্ছে‌। এই স্থায়ী ব্যবসায়ীরাই এখন অভিযোগ করতে শুরু করেছেন।

গান্ধীমোড় থেকে কালিনগর রোডের দিকে গেলেই আপনারা দেখতে পাবেন ফুটপাতের সমস্ত জায়গা দখল করে বসে আছে এই অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা।

আরো অভিযোগ, কিছুদিন আগেই ব্যবসায়ীদের যে সেন্ট্রাল কমিটি,লোকাল কমিটি ইত্যাদি কমিটির গঠিত হলো,তাদের ভূমিকা অর্থাৎ তাদের কাজ এবং সক্রিয় ভূমিকা আর লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এই কমিটিগুলি ব্যবসায়ীদের নিয়ে কোন বৈঠকও করল না আলোচনাও করলো না। এখন এই স্থায়ী ব্যবসায়ীরা এই কমিটির সদস্যদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। হয়তো একপ্রকার জোর করেই এই কমিটি তৈরি হয়েছে, যা সকল ব্যবসায়ীদের মুখে মুখে এক সময় আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছিল, ওই দিনটি অনেক ব্যবসায়ী কালো দিন হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন।

কিছু কিছু ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেছেন, সেন্ট্রাল কমিটির ভূমিকা কি? তারা তো কোন আলাপ আলোচনাতেই বসলো না ব্যবসায়ীদের সাথে।
এখনো পর্যন্ত কাঁচরাপাড়া সেন্ট্রাল কমিটি রয়েছে কিনা অর্থাৎ এর অস্তিত্ব রয়েছে কিনা এই নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন কিছু ব্যবসায়ী।